সপরিবারে গ্রিসে পাড়ি জমালেন ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা পাওয়া জোকোভিচ  

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:২২

শেয়ার

সপরিবারে গ্রিসে পাড়ি জমালেন ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা পাওয়া জোকোভিচ  
সপরিবারে সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। ছবি: সংগৃহীত।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জন্মভূমি সার্বিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচের বিরুদ্ধে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রকাশ্যে সমর্থন জানানোর পর থেকেই সরকারের কাছে ‘অপছন্দের’ হয়ে ওঠেন তিনি। সার্বিয়ার সরকারঘেঁষা গণমাধ্যম তাঁকে আখ্যা দেয় ‘দেশবিরোধী’, আর ট্যাবলয়েডগুলো ছড়ায় ‘ভুয়া দেশপ্রেমিক’ তকমা।

 

দ্য গ্রিক হেরাল্ডের খবর অনুযায়ী, পরিবারকে নিয়ে গ্রিসে স্থায়ীভাবে বসতি গড়েছেন জোকোভিচ। এথেন্সের দক্ষিণাঞ্চলের উপশহর গ্লাইফাদায় আবাস পেয়েছেন তিনি। তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলে স্তেফান এবং ৮ বছর বয়সী মেয়ে তারাকে ভর্তি করানো হয়েছে এথেন্সের সেন্ট লরেন্স কলেজে। স্থানীয় ক্লাবে ছেলের সঙ্গে টেনিস খেলতে দেখা গেছে জোকোভিচকে, আর সেই মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

রাজনৈতিক অবস্থান জানানোর পর থেকেই চাপ বাড়তে থাকে জোকোভিচের ওপর। গত বছর নভেম্বরে রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সার্বিয়াজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন,

“আমি বিশ্বাস করি, তারুণ্যের শক্তি এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নের প্রতি আস্থা রাখা জরুরি। তাদের কথা শোনা উচিত।”

পরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পাওয়া জয় উৎসর্গ করেন আহত শিক্ষার্থীদের। বেলগ্রেডে এক বাস্কেটবল ম্যাচে গিয়েছিলেন ‘শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন’ লেখা জাম্পার পরে।

 

এমন অবস্থান তাঁকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গেলেও প্রেসিডেন্ট ভুচিচ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কখনোই জোকোভিচকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেন না।

 

এদিকে মেইল অনলাইন জানিয়েছে, গ্রিসে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ‘গোল্ডেন ভিসা’য় আবেদন করতে পারেন জোকোভিচ। দেশটিতে বিনিয়োগের বিনিময়ে স্থায়ী আবাস মেলে এই ভিসায়। ইতোমধ্যেই দুবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিতসোতাকিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

 

৩৮ বছর বয়সী জোকোভিচ সম্প্রতি ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরে যান। এ বছর চারটি গ্র্যান্ড স্লামেই সেমিফাইনালে উঠলেও ফাইনালে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ফলে উন্মুক্ত যুগে রেকর্ড ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হলো সার্বিয়ার এই তারকার।