প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন আলকারাজ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫০

শেয়ার

প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন আলকারাজ
ইউএস ওপেনে নতুন হেয়ারস্টাইলে স্প্যানিশ তারকা আলকারাজ। ছবি: সংগৃহীত।

এক বছর আগের ইউএস ওপেন আলাদা এক গল্প বলেছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডেই বাদ পড়েছিলেন কার্লোস আলকারাজ। ২০২১ সালের পর গ্র্যান্ড স্লামে সেটিই ছিল তাঁর সবচেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স। অনেকেই ভেবেছিলেন, স্প্যানিশ তরুণের ধার যেন কোথাও গিয়ে আটকে গেছে। কিন্তু ২০২৪-এর এই ফ্ল্যাশিং মিডোজে সেই হতাশার কোন চিহ্ন নেই। আলকারাজ যেন একেবারেই নতুন রূপে হাজির হয়েছেন।

 

বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে ইতালীয় প্রতিপক্ষ মাত্তিয়া বেলুচ্চির বিপক্ষে ছিলেন একেবারে অপ্রতিরোধ্য। কোর্টে দাঁড়িয়ে দর্শকেরা বুঝতেই পারেননি, ম্যাচটা কখন শুরু হলো আর কখন শেষ। মাত্র ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটে তিনি গেম সেরে ফেললেন, স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ৬-১, ৬-০, ৬-৩। একতরফা এই জয় প্রমাণ করে দিল, আলকারাজ এখন শুধু প্রতিযোগী নন, বরং শিরোপার সবচেয়ে ভয়ংকর দাবিদারদের একজন।

 

তবে আলকারাজের দৌড়টা শুধু গতি ও দক্ষতার নয়, বরং মানসিক দৃঢ়তারও। মাত্র এক বছর আগেই যেখানে একই রাউন্ডে হোঁচট খেয়েছিলেন, এবার সেই জায়গাটাকেই তিনি পরিণত করলেন আত্মবিশ্বাসের মাইলফলকে। দর্শকদেরও যেন মনে করিয়ে দিলেন, সেরা হতে গেলে কষ্ট থেকে শিক্ষা নেওয়াই আসল।

 

কিন্তু দ্রুত জয়ও কখনো কখনো দর্শকদের মন ভরাতে পারে না। নিউ ইয়র্কের দর্শকেরা গাঁটের পয়সা খরচ করে এসেছিলেন রোমাঞ্চকর টেনিস দেখতে, কিন্তু এত দ্রুত শেষ হওয়া ম্যাচে অনেকেই খানিকটা হতাশ। সেই হতাশা টের পেয়েই ম্যাচ শেষে মুখে চওড়া হাসি মেখে আলকারাজ মজার ছলেই বললেন, “দর্শকের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু কী করব বলুন, আমার কাজটা তো আমাকে করতে হবে।”

 

এই উক্তি প্রমাণ করে দিলেন, টেনিস কোর্টে তিনি যেমন আক্রমণাত্মক, তেমনি কোর্টের বাইরে দর্শকের আবেগও তাঁর নজর এড়িয়ে যায় না। হয়তো এ কারণেই মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি পাঁচবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

 

এখন প্রশ্ন একটাই, ফ্ল্যাশিং মিডোজে আলকারাজের এই ঝড় কোথায় গিয়ে থামবে? তাঁর খেলা যেভাবে ছুটছে, মনে হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের রাতগুলোতে আরও অনেক আনন্দ আর বিস্ময় উপহার দিতে যাচ্ছেন তিনি।