শিরোনাম

ইউএস ওপেন এ প্রথম জয় তুলে নিয়ে জোকোভিচের উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত।
নোভাক জোকোভিচ যখন ২০০৮ সালে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন, তখন লার্নার টিয়েন ছিলেন দুই ১৯ বছরের তরুণ টিয়েন ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে কোর্টে নেমেছিলেন কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে। তবে অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের সামনে টিকতে পারেননি তিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে ৩-০ সেটে সহজ জয় তুলে নিয়েছেন জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়লেও বাকি দুই সেটে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে টিয়েনকে।
২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের স্বপ্নে দৌড়ানো ৩৮ বছর বয়সী সার্বিয়ান তারকা প্রথম সেটেই নিজের আগ্রাসী মেজাজের প্রমাণ দেন। মাত্র ৬-১ গেমে উড়িয়ে দেন কোর্টের তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে। দ্বিতীয় সেটে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন টিয়েন। ম্যাচটিকে টেনে নিয়ে যান টাইব্রেকারে। কিন্তু দ্বিগুণ বয়সী জোকোভিচের অভিজ্ঞতার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি তিনি। টাইব্রেকারে ৭-৬ (৭-৩) গেমে পরাজয় মানতে হয় তাকে।
তৃতীয় ও শেষ সেটে আর লড়াই করার সুযোগই পাননি মার্কিন এই তরুণ। ৬-২ গেমের দাপুটে জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখেন জোকোভিচ। এর সঙ্গে ধরে রাখলেন আরেকটি রেকর্ড, ২০০৬ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর থেকে কখনোই আর প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেননি তিনি।
কৈশোর পেরোনো টিয়েনকে হারানোর পর নিজেকেও যেন সেই বয়সে ফিরে যেতে চাইলেন জোকোভিচ। ম্যাচ শেষে বয়স প্রসঙ্গে খানিকটা আবেগঘন হয়ে তিনি বলেন, “আমার যদি লার্নার টিয়েনের মতো বয়স থাকত! বয়স যখন ত্রিশের ঘরে চলে যায়, তখন শক্তি ধরে রাখার উপায় শিখতে হয়। তবে আমার মধ্যে এখনো আগ্রহ আছে, তাড়না আছে, আর আপনারাই আমার শক্তির প্রেরণা। আশা করি, আমি আরও এগিয়ে যেতে পারব।”
আরও পড়ুন: