ছাত্রদের বিক্ষোভে সমর্থনের জেরে জোকোভিচের দেশত্যাগের শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৯

আপডেট: ২২ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৩০

শেয়ার

ছাত্রদের বিক্ষোভে সমর্থনের জেরে জোকোভিচের দেশত্যাগের শঙ্কা
ছাত্রদের বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে সরকারের রোষানলে জোকোভিচ। ছবি: সংগৃহীত। 

সার্বিয়ায় গত ডিসেম্বর থেকে দেশের শিক্ষার্থীরা সরকারবিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছে। এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সার্বিয়ার প্রখ্যাত টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। তবে এ সমর্থনের কারণে এখন তার জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, দেশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুকিচের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমগুলোর চোখে জোকোভিচকে ‘দেশবিরোধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

 

২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক জোকোভিচের ওপর বাড়ছে চাপ। পরিস্থিতি এমন যে তিনি পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কথাও ভাবতে পারেন। একাধিক সার্বিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যদি জোকোভিচ দেশ ছাড়েন, সার্বিয়া সরকার তাকে বাধা দেবে না।

 

আন্দোলন শুরু হওয়া মাত্রই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোকোভিচ লিখেছিলেন, “যুব সমাজের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। তাদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস করি। উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের কথা শোনা জরুরি। দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো যুবসমাজ। তাদের সম্মান করা প্রয়োজন। সার্বিয়ায় সম্ভাবনা অসীম।”

 

জোকোভিচ শুধু কথায় নয়, কাজে দিয়ে দেখিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর সেটি তিনি আন্দোলনে নিহত এক ছাত্রকে উৎসর্গ করেছিলেন। এছাড়া বেলগ্রেডের বাস্কেটবল ডার্বিতে ‘স্টুডেন্টস এন্ড চ্যাম্পিয়ন্স’, লেখা টি-শার্ট পরে গিয়ে তিনি আবারও আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন। এই কারণে প্রেসিডেন্ট ভুকিচের সমর্থক সংবাদমাধ্যমগুলো ধারাবাহিকভাবে সমালোচনা শুরু করেছে।

 

এই মিডিয়ার অভিযোগ, জোকোভিচ দেশকে কোনো উপকার করেননি; ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য দেশের নাম ব্যবহার করেছেন। প্রশাসনও তার গতিবিধির উপর নজর রাখছে। পরিস্থিতি এমন যে নিজ দেশে আর নিজেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত মনে করছেন না জোকোভিচ।

 

যারফলে গুঞ্জন উঠেছে, তিনি পরিবারসহ স্থায়ীভাবে গ্রিসে চলে যেতে পারেন। সম্প্রতি তিনি গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে একাধিক সাক্ষাৎ করেছেন। যদিও উভয় পক্ষই বিষয়টি কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও, রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিষয়ক জল্পনা তৈরি হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, নোভাক জোকোভিচের ভবিষ্যৎ ধাপে গ্রিসে বসবাসের সম্ভাবনা কম নয়।