শিরোনাম

দাদার স্মৃতিতে খেলেই সেমিতে ক্লারা তাউসেন। ছবি: সংগৃহীত।
কানাডিয়ান ওপেনে যেন অঘটনের নীরব ঝড় তুলেছেন ক্লারা তাউসেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) মন্ট্রিয়লে ১৬তম বাছাই এই ড্যানিশ তারকা ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দিলেন মার্কিন তারকা ও ছয় নম্বর বাছাই ম্যাডিসন কিসকে। এ জয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো নিজের ক্যারিয়ারে ডব্লিউটিএ ১০০০ আসরের সেমিফাইনালে উঠলেন ২২ বছর বয়সী তাউসন।
এই জয়টিকে আরও বিশেষ করে তুলেছে এর পেছনের আবেগঘন গল্প। ম্যাচ শেষে তাউসেন জানান, “দুই দিন আগে আমার দাদা মারা গেছেন। শিয়াওতেককে হারানোর পরের দিনই খবরটা পাই। আজ আমি কেবল তাঁর জন্যই খেলেছি, আশা করি উনি ওপর থেকে দেখছেন।”
এর আগের রাউন্ডেই বিশ্ব দুই নম্বর ইগা শিয়াওতেককে হারিয়ে বড় চমক দিয়েছিলেন তাউসেন। এবার কিসের বিপক্ষে শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। প্রথম সেটে দুই ব্রেক পয়েন্টই কাজে লাগিয়ে মাত্র আধঘণ্টার কিছু বেশি সময়ে ৬-১ এ সেট জিতে নেন।
দ্বিতীয় সেটেও শুরুতে কিসের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে যান তাউসেন। অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের চাপ সামলিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করেন ৬-৪ গেমে। এর মাধ্যমে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে থাকা প্রতিপক্ষকে টানা দ্বিতীয়বার হারালেন বর্তমান বিশ্বের ১৯তম র্যাঙ্কধারী তাউসন।
সেমিফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছেন চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাওমি ওসাকা। জাপানি এই তারকা প্রথমবারের মতো কানাডিয়ান ওপেনের শেষ চারে উঠলেন এলিনা সভেতোলিনাকে ৬-২, ৬-২ গেমে হারিয়ে। ২০২২ সালের পর এটিই তাঁর প্রথম ডব্লিউটিএ ১০০০ সেমিফাইনাল।
ওসাকা ও তাউসেনের এই লড়াই নিঃসন্দেহে হবে টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ। একদিকে টানা আপসেটের ছন্দে থাকা তরুণ ড্যানিশ প্রতিভা, অন্যদিকে অভিজ্ঞ ওসাকা দুজনেরই লক্ষ্য স্পষ্ট, ট্রফির আরও কাছে যাওয়া।
মন্ট্রিয়লের কোর্টে ইতিমধ্যেই নিজের দৃঢ়তা ও মানসিক শক্তির প্রমাণ দিয়েছেন তাউসেন। ব্যক্তিগত শোককে প্রেরণায় রূপান্তর করে টানা বড় জয় এনে দিয়ে তিনি শুধু প্রতিযোগিতাই বদলে দেননি, বরং টেনিসপ্রেমীদের চোখে নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। এখন দেখার বিষয়, আপসেটের এই ধারা সেমিফাইনালেও বজায় থাকে কি না।
আরও পড়ুন: