শিরোনাম
.jpg)
সিনিয়রদের কোচিংয়ে ২৫ বছর বয়সী থাই কোচ প্যাটারাথ্রোর্ন পাসারা। ছবি: সংগৃহীত।
খেলার জন্য ২৫ বছর বয়স নিঃসন্দেহে উপযুক্ত, কিন্তু সেই বয়সেই কোচের দায়িত্ব এটা অনেকের কাছে বিস্ময়কর। তবুও ঠিক এমন এক চমকই দেখিয়েছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন। থাইল্যান্ডের প্যাটারাথ্রোর্ন পাসারা নামের মাত্র ২৫ বছর বয়সী সাবেক খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে আনা হয়েছে সাময়িক চুক্তিতে।
ছয়বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মাহবুব, নারী দলের অভিজ্ঞ মুখ সোনাম সুলতানা সোমাসহ অনেকেই আছেন যাদের ক্যারিয়ার এই কোচের বয়সের কাছাকাছি বা তার চেয়েও পুরনো। এ নিয়েই কিছুটা বিতর্কও তৈরি হয়েছে টেবিল টেনিস মহলে। বয়সে ছোট একজন কোচের অধীনে অভিজ্ঞ ও সিনিয়রদের খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিলেও ফেডারেশন বিষয়টিকে দেখছে অন্যভাবে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন এএম মাকসুদ আহমেদ (সনেট) বলেন, “আমাদের মূল পরিকল্পনা ছিল চাইনিজ কোচ আনার। কিন্তু বাজেট ও ভাষাগত কারণে তা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত থাই কোচ পাসারাকে পাওয়া আমাদের জন্য ইতিবাচক। কোচ শেখাতে আসবেন, খেলোয়াড়দের সেটা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে।”
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ২৫ বছর বয়সী কোনো বিদেশি কোচের আগমন নজিরবিহীন বলা যায়। এমনকি দেশের ভেতরেও এ বয়সে কোচ হওয়ার ঘটনা বিরল। ফুটবলে ৩২ বছর বয়সী নাথান হলের ঘটনা অনেকের স্মরণে আছে, যিনি কিছু মাস পরই দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
তবে থাই কোচ পাসারার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার একেবারে ফেলনা নয়। ২০২২ সালের সাউথইস্ট এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি থাইল্যান্ডের হয়ে স্বর্ণ জিতেছেন। ২০২৪ সালের চিং মি সার্কিট কিংস কাপে তিনি রৌপ্য ও স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তার সর্বোচ্চ ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং ছিল ৩১৪।
আগামী অক্টোবরে বাহরাইনে এশিয়ান ইয়ুথ গেমস, নভেম্বরে সৌদি আরবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস এবং জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এসএ গেমস রয়েছে। এসব বড় আসরের প্রস্তুতির লক্ষ্যেই কোচ আনা হয়েছে। আপাতত দুই মাসের জন্য চুক্তি হলেও পারফরম্যান্স ভালো হলে মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে ক্যাম্পে রয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ৮ জন এবং পুরুষ-মহিলা সিনিয়র দলে প্রায় ৩২ জন খেলোয়াড়। আগামী ৮ আগস্ট বাছাইয়ের মাধ্যমে সিনিয়র টিম নামিয়ে আনা হবে ২০ জনে। এ ছাড়া ফেডারেশনের ইচ্ছা রয়েছে বিদেশি সহকারী কোচ ও প্র্যাকটিস পার্টনার আনার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের বিদেশি একাডেমিতে পাঠানোরও।
এই বয়সে কোচের আগমন নতুন এক পরীক্ষার সূচনা করেছে। সেটি কতটা সফল হয়, তা সময়ই বলে দেবে।
আরও পড়ুন: