শিরোনাম
.jpg)
স্পেনের ক্রীড়ামন্ত্রী পিলার আলেগ্রিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর যেমন রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবেই গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার কারণে তাদেরও নিষিদ্ধ করা উচিত, এমন মন্তব্য করেছেন স্পেনের ক্রীড়ামন্ত্রী পিলার আলেগ্রিয়া। তাঁর ভাষায়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলমান এই বৈষম্য ও দ্বিচারিতা ব্যাখ্যা করাই কঠিন।
স্পেনে চলমান ভুয়েলতা আ এস্পানিয়া সাইক্লিং টুর্নামেন্টকে ঘিরেই এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। ২৩ আগস্ট শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ইসরায়েল-প্রিমিয়ার টেক নামের একটি দল। বেসরকারি হলেও দলটির মালিক ইসরায়েলি-কানাডিয়ান ধনকুবের সিলভান অ্যাডামস, আর দলকে সমর্থন জানিয়ে প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই অবস্থায় স্পেনে তীব্র বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যা কয়েকটি ধাপে প্রতিযোগিতার দৈর্ঘ্য কমাতে বাধ্য করেছে আয়োজকদের।
স্পেনের রেডিও কাদেনা এসইআরে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলেগ্রিয়া বলেন, “যখন প্রতিদিন আমরা গণহত্যা, হত্যাযজ্ঞ, ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখছি, তখন আন্তর্জাতিক ফেডারেশনগুলোর উচিত রাশিয়ার ক্ষেত্রে নেওয়া সিদ্ধান্তের মতোই পদক্ষেপ নেওয়া। রাশিয়ান দল বা ক্লাবকে যেমন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “৬০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, শিশু ও নবজাতকেরা না খেয়ে মরছে, হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই খেলাধুলায়ও রাশিয়ার মতো অবস্থান নেওয়া জরুরি।”
তবে ক্রীড়ামন্ত্রীর দাবি সত্ত্বেও স্পেন সরকার সরাসরি কোনো দল নিষিদ্ধ করতে পারবে না। এর সিদ্ধান্ত নেবে সাইক্লিংয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউসিআই।
ভুয়েলতা আ এস্পানিয়ার ১১তম, ১৬তম ও ১৮তম ধাপ ইতোমধ্যেই বিক্ষোভের কারণে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মাদ্রিদে প্রতিযোগিতা শেষ হবে। তবে রাজধানীর প্রবেশমুখেও বিক্ষোভ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলেগ্রিয়া মনে করেন, মানুষের ক্ষোভ যৌক্তিক: “খেলাধুলা কখনো চারপাশের বাস্তবতা থেকে আলাদা থাকতে পারে না। মানুষ তাদের অনুভূতি প্রকাশ করছে, আর সেটা স্বাভাবিক।”
প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের নেতৃত্বাধীন স্পেনের বামপন্থী জোট সরকার ফিলিস্তিনের পক্ষে বরাবরই দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে দেশটির সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: