শিরোনাম

মেসি-রোকুজ্জোর চুম্বনের সময় চোখ ঢাকছেন মেসিপুত্র থিয়াগো। ছবি: সংগৃহীত।
ছবিটি তোলা হয়েছিল বহু আগে, ২০১৭ সালের ৩০ জুন। লিওনেল মেসি আর আন্তোনেলা রোকুজ্জোর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন তাঁদের বিয়ের দিন। রোজারিও সিটি সেন্টার হোটেল কমপ্লেক্সে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠান ছিল শহরের সবচেয়ে আলোচিত আয়োজনগুলোর একটি। অতিথি ছিলেন ২৬০ জনের বেশি, যাঁদের মধ্যে ছিলেন তারকা ফুটবলাররাও। ঝলমলে সেই অনুষ্ঠানে ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন আলোকচিত্রী আন্দ্রেস প্রেউমাইর।
ক্লিকের পর ক্লিক করছিলেন তিনি, কিন্তু একটি মুহূর্ত বদলে দিল তাঁর ক্যারিয়ারের গল্প। সদ্য বিবাহিত মেসি যখন রোকুজ্জোর ঠোঁটে চুমু খাচ্ছেন, ঠিক তখন তাঁদের বড় ছেলে থিয়াগোর প্রতিক্রিয়া ধরা পড়ে লেন্সে। বাবা–মায়ের রোমান্স দেখে চার বছরের থিয়াগো লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নেয়, হাত দিয়ে ঢেকে ফেলে দুই চোখ। সেই স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি ছবিটিকে করে তোলে অনন্য।
প্রেউমাইর পরে ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, “আমরা সবাই অপেক্ষা করছিলাম লিও আর আন্তোর চুমুর ছবির জন্য। মুহূর্তটা ঠিকমতো ক্যামেরায় ধরা পড়ল কি না, তখন নিশ্চিত ছিলাম না। পরে কয়েক ঘণ্টা পর ছবিটি চোখে পড়তেই মনে হলো হ্যাঁ, এটাই সেই মুহূর্ত।”
সেই অনন্য ছবি মেসি–রোকুজ্জোর পারিবারিক অ্যালবামের অংশ হয়ে যায়। তবে প্রকাশ্যে আসে আরও তিন বছর পর, ২০২০ সালের ৩০ জুন তাঁদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীতে। সেদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দম্পতি যখন ভালোবাসায় ভরা ভিডিও শেয়ার করেছিলেন, তখনই দেখা মেলে থিয়াগোর সেই মিষ্টি অভিব্যক্তির ছবির।
সময় গড়িয়েছে, কিন্তু ছবির আবেদন ম্লান হয়নি। বরং সম্প্রতি তা এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ইন্সপিরেশন ফটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৬৯তম আসরে শত শত ছবির ভিড়ে বিশেষজ্ঞদের ভোটে বিজয়ী হয়েছেন প্রেউমাইর। এটি এমন একটি সংগঠন, যেখানে বিশ্বের সেরা বিয়ে, পরিবার ও প্রামাণ্যচিত্রের আলোকচিত্রী ও নির্মাতারা যুক্ত আছেন।
প্রেউমাইরের কাছে ছবিটি কেবল একটি স্মৃতিই নয়, তাঁর ক্যারিয়ারের এক মাইলফলক। আর ফুটবল দুনিয়ার কাছে এটি মেসির ব্যক্তিগত জীবনের এক অমূল্য দৃশ্য যেখানে বিশ্বতারকার গ্ল্যামার মিশে আছে এক শিশুর সরলতায়।
আরও পড়ুন: