শিরোনাম

দেশের দ্রুততম মানবের মুকুট ফের নিজের করে নিলেন ইমরানুর। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকসে গত কয়েক বছর ধরে যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায়, তিনি ইমরানুর রহমান। দেশের অ্যাথলেটিকসকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এই প্রবাসী স্প্রিন্টার আবারও প্রমাণ করলেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে খেলা ইমরানুর। প্রত্যাশা মতোই তিনি জয় করলেন ১০০ মিটার দৌড়ের স্বর্ণপদক, ফিরিয়ে নিলেন দেশের দ্রুততম মানবের মুকুট।
গত ফেব্রুয়ারিতে ৪৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকসে চোটের কারণে অংশ নিতে পারেননি ইমরানুর। লন্ডনে পুনর্বাসন আর প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন কঠিন সময়। চীনেও গিয়েছিলেন প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে। তাঁর অনুপস্থিতিতে দ্রুততম মানবের খেতাব ফিরে পান মোহাম্মদ ইসমাইল। আজ সেই ইসমাইলকে হারিয়েই জাতীয় মঞ্চে আবারও সেরা দৌড়বিদ হিসেবে নিজের জায়গা নিশ্চিত করলেন ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট।
জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের চোখ ছিল মূলত একটি ইভেন্টেই, পুরুষদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। কারণ সবাই অপেক্ষা করছিলেন ইমরানুর–ইসমাইল দ্বৈরথ দেখার। শেষ পর্যন্ত ইমরানুর কোনো সংশয় রাখেননি। দুর্দান্ত গতিতে দৌড়ে সহজেই সোনা জিতে নেন তিনি, প্রমাণ করলেন কেন তাঁকে বলা হয় দেশের দ্রুততম মানব।
ইংল্যান্ডের শেফিল্ডে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইমরানুর প্রথমবার বাংলাদেশের জাতীয় অ্যাথলেটিকসে অংশ নেন ২০২২ সালে। অভিষেকেই তিনি জয় করেছিলেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের শিরোপা, গড়েছিলেন রেকর্ডও। সেই থেকে টানা কয়েক মৌসুম তিনি ছিলেন দেশের দ্রুততম অ্যাথলেট। তবে এবারের ফেব্রুয়ারির জাতীয় আসরে চোট তাঁকে থামিয়ে দেয়। এবার মাঠে নেমেই সেই শূন্যতা পূরণ করলেন।
শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইতিমধ্যে উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের নাম। ২০২৩ সালে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জয় করেন তিনি, যা এশিয়ান পর্যায়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল এক সাফল্য। একই বছর এশিয়ান অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার ইভেন্টে হন ১১তম এবং বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম রাউন্ডেই হিটে সবার আগে ফিনিশ করেন। এমনকি লন্ডনের একটি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ১০.১১ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করে গড়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় রেকর্ড, যা এখনও অক্ষুণ্ণ।
আরও পড়ুন: