শিরোনাম

অসুস্থ মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে ফেরা হল না শালানের। ছবি: সংগৃহীত।
গাজায় অসুস্থ মেয়ের জন্য খাবার আর ওষুধ আনতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিস্তিনের সাবেক বাস্কেটবল তারকা মোহাম্মদ শালান। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’ আজ (২১ আগস্ট) এই খবর নিশ্চিত করেছে।
৪০ বছর বয়সী শালান স্থানীয় সময় গাজার খান ইউনিসের কাছে একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র থেকে অসুস্থ শিশু মরিয়ম এবং তার পরিবারের জন্য খাবার ও ওষুধ আনছিলেন। মোহাম্মদ শালান ‘আল-জিলজাল’ নামেি বেশি পরিচিত ছিলেন, আরবি এই শব্দের অর্থ ‘ভূমিকম্প’। এটি ফিলিস্তিনি ক্রীড়াঙ্গনে তার শক্তিশালী উপস্থিতি ও জনপ্রিয়তার প্রতীক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মরিয়মের কিডনিতে সমস্যা ছিল এবং তিনি রক্তে বিষক্রিয়ার শিকার ছিলেন। শালান তার চিকিৎসার জন্য বারবার সহায়তা চেয়েছিলেন। মানবিক দায়বদ্ধতায় অনবদ্য এই তারকা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন।
ফিলিস্তিন জাতীয় দলের পাশাপাশি শালান খাদামাত আল-বুরেইজ, খাদামাত আল-মাগাজি ও খাদামাত খান ইউনিসসহ বিভিন্ন স্থানীয় ক্লাবে খেলে শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যু ফিলিস্তিনি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বড় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই ঘটনায় ফিলিস্তিনে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত ক্রীড়াবিদদের সংখ্যা আরো বাড়ল। এর আগে রাফাহ ইউথ ক্লাবের কর্মকর্তা সালেম আল-শায়ের (২৬) এবং আল-সালাহ স্পোর্টস ক্লাবের সাবেক তারকা আহমেদ আল-জাওরানি (৪০) নিহত হন। চলতি মাসের শুরুতেই ‘ফিলিস্তিনের পেলে’ হিসেবে পরিচিত ফুটবল তারকা সুলেইমান আল-ওবেইদও ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি গুলিতে প্রাণ হারান।
ফিলিস্তিনি ক্রীড়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক গণহত্যামূলক আগ্রাসনের ফলে কমপক্ষে ৬৭০ জন ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ নিহত হয়েছেন। এই হতাহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণ ও মানবিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছিলেন। শালানের মৃত্যু ক্রীড়াঙ্গনের পাশাপাশি মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রেও বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: