লস অ্যাঞ্জেলেসে এসেছি জিততে, সনের ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৭

শেয়ার

লস অ্যাঞ্জেলেসে এসেছি জিততে, সনের ঘোষণা
সনের নতুন চ্যালেঞ্জ, মেজর লিগের শিরোপা জয়। ছবি: সংগৃহীত।

টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে এক দশকজুড়ে একচ্ছত্র দাপট দেখানো এই ফরোয়ার্ড এবার স্থায়ী চুক্তিতে যোগ দিলেন মেজর লিগ সকার (এমএলএস)-এর ক্লাব এলএএফসিতে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি হলেও, রয়েছে ২০২৯ পর্যন্ত ক্লাব অপশনও। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের  স্থানীয় সময় বুধবার (৬ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে।

 

এই চুক্তি শুধু এলএএফসি নয়, পুরো এমএলএস-এর ইতিহাসে এক মাইলফলক। ধারণা করা হচ্ছে, সনের ট্রান্সফার ফি ছিল প্রায় ২৬.৫ মিলিয়ন ডলার  যা মেজর লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

 

টটেনহ্যামে ১৭৩ গোল ও ১০১ অ্যাসিস্টে কেরিয়ার গড়েছেন সন। ২০২১-২২ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন বুট জয় করে তিনি ইতিহাস গড়েন প্রথম এশিয়ান হিসেবে। তবে তিনি জানেন, এলএতে এই অর্জনগুলো কোনো নিশ্চয়তা নয়। তিনি বলেন, “ইউরোপে সফল ছিলাম, মানে এই না এখানেও হবো। আমি এসেছি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে, জিততে।”

 

৩৩ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, “আমি এসেছি নিজের সর্বোচ্চটা দিতে, এই ক্লাব, শহর আর সমর্থকদের জন্য সব উজাড় করে দিতে। ট্রফি জিততে এসেছি, এবং কিছু সত্যিই রোমাঞ্চকর ফুটবল উপহার দিতে চাই।”

 

ক্লাবের সহ-সভাপতি জন থরিংটন বলেন, “সনি একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। আমরা গর্বিত, তিনি আমাদের ক্লাবকেই বেছে নিয়েছেন।”

 

এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী সাবেক টটেনহ্যাম সতীর্থ হুগো লরিসের সঙ্গে আবারও একই দলে খেলবেন সন। লরিস এরইমধ্যে এলএএফসিতে আছেন, এবং তার উপস্থিতি সনের সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলেই শোনা যাচ্ছে।

 

সন প্রথমে এলএএফসি’র প্রস্তাবে আগ্রহী না থাকলেও, সহ-সভাপতির সঙ্গে একটি কথোপকথনে বদলে যায় তার মন। “একটা ফোনকলেই আমার হৃদয় বদলে যায়,” বলেছেন সন।

 

প্রাক্তন ক্লাব টটেনহ্যামের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি বলেন, “সনি শুধু দুর্দান্ত খেলোয়াড়ই না, অসাধারণ একজন মানুষও। তিনি আমাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা। সবসময় আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে থাকবেন।”

 

এখন অপেক্ষা শুধু ভিসা ও আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার সার্টিফিকেটের। তারপরই এলএএফসির হয়ে মাঠে নামবেন কোরিয়ান সুপারস্টার। শহরে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৮ লাখ কোরিয়ান বংশোদ্ভূতের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই বসবাস করেন এই অঞ্চলে।

 

সনের উপস্থিতি শুধু মাঠে নয়, মার্কেটিং ও কমিউনিটি স্তরেও দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছে এলএএফসি।