অভিযোগ সত্যি হলে দীর্ঘ কারাদণ্ডের মুখে পড়বেন আশরাফ হাকিমি। ছবি: সংগৃহীত।
প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও মরক্কোর ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি ধর্ষণের অভিযোগে ফরাসি আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে এই তারকার।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরতলী বোলোন-বিয়াঁকুরে হাকিমির বাড়িতে ২৪ বছর বয়সী এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লা প্যারিসিয়েন’ জানায়, দীর্ঘ তদন্ত শেষে গতকাল (১ আগস্ট) ফ্রান্সের নানতের প্রসিকিউটর অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে হাকিমির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক বিচার শুরুর সুপারিশ করেছে।
মামলার তদন্তকারী বিচারকের উপর নির্ভর করছে, বিষয়টি আদালতে বিচারপর্বে যাবে কি না। তবে প্রসিকিউশনের এই পদক্ষেপ হাকিমির দোষ প্রমাণ করে না, বরং তারা মনে করছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে মামলা এগিয়ে নেওয়ার জন্য।
অভিযোগ অনুযায়ী, হাকিমি ও ওই নারীর পরিচয় ২০২৩ সালে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে। পরে হাকিমি নিজেই ড্রাইভার পাঠিয়ে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। অভিযোগকারীর দাবি, হাকিমি জোরপূর্বক তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করলে এবং তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি হাকিমিকে ঠেলে সরিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
নারীটি ঘটনার পর এক বান্ধবীকে বার্তা পাঠান এবং পরদিন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ৩ মার্চ হাকিমিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয় এবং বিচারিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে হাকিমি বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
তিনি দাবি করেন, বিষয়টি একটি পরিকল্পিত ব্ল্যাকমেইল এবং সবকিছুই ছিল পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে। পিএসজিও হাকিমির পাশে থেকেছে। ক্লাবটি ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে তদন্ত চলাকালীন তাঁর অনুপস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ক্লাবটি এক বিবৃতিতে জানায়, “এই মামলাটি একটি আইনি প্রক্রিয়া এবং আমরা হাকিমির পাশে রয়েছি।”
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা তদন্ত শেষে আদালতের দিকে গড়ানো এই মামলাটি এখন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।