শিরোনাম
.jpg)
প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়ার সাথে ম্যাচের এক মুহূর্তে ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত।
লা লিগায় নিজেদের পরের ম্যাচ কোথায় খেলবে বার্সেলোনা, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে কাতালান ক্লাবটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার রাতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে সংস্কারের কারণে বন্ধ রয়েছে বার্সেলোনার ঐতিহ্যবাহী ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু। মৌসুম শুরুর আগেই ক্লাবটির পরিকল্পনা ছিল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের মাঠে ফেরা। কিন্তু সব প্রস্তুতি শেষ করেও লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে সময়মতো কাগজ জমা দিতে না পারায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে, দুই বছর ধরে ব্যবহার করা অলিম্পিক স্টেডিয়ামও বর্তমানে ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামকে, যেখানে সাধারণত বার্সার নারী ও যুব দল খেলে থাকে।
তবে নতুন ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি ভ্যালেন্সিয়ার সমর্থকেরা। কারণ, মাত্র ছয় হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবেন কেবল বার্সার সদস্যরা। বাইরের সমর্থকদের ঢোকার সুযোগ থাকছে না। ফলে ম্যাচটি পূর্ণ গ্যালারিতেও হলেও লা লিগার ইতিহাসে অন্যতম কম দর্শকসংখ্যার ম্যাচ হিসেবে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নেবে।
লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ম্যাচ আয়োজন করতে হলে স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা অন্তত আট হাজার হতে হয়। যদিও এবার বিশেষ বিবেচনায় বার্সেলোনাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সংস্কার চলাকালে নিজেদের হোম ম্যাচ আয়োজন করেছিল আলফ্রেডো ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে, যার ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র পাঁচ হাজার সাতশ। তবে সেই ম্যাচগুলো হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে।
লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম ধারণক্ষমতার মাঠগুলোর মধ্যে রয়েছে এইবারের আইপুরুয়া (৬,২৬৭) ও উয়েস্কার এল আলকোরাস (৫,০০০)। পরে অবশ্য এল আলকোরাসে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে আট হাজার করা হয়েছিল। তবে চলতি মৌসুমে ইয়োহান ক্রুইফই হবে লা লিগার সবচেয়ে ছোট ভেন্যু।
অন্যদিকে, লা লিগার সবচেয়ে বেশি দর্শকসংখ্যার রেকর্ডও বার্সেলোনারই দখলে। বসার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হওয়ার আগে ক্যাম্প ন্যুতে এক ম্যাচে ১ লাখ ২৫ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন, যা এখনো স্প্যানিশ ফুটবলের ইতিহাসে অক্ষত এক রেকর্ড।
আরও পড়ুন: