শিরোনাম

রিয়ালের দুই গোলদাতা আর্দা গুলার ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত।
লা লিগার নতুন মৌসুমে ম্যাচের পর ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা ঘিরে। রোববার (৩১ আগস্ট) মায়োর্কার মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথমার্ধে রোমাঞ্চকর লড়াই, দ্বিতীয়ার্ধে বিতর্কিত ভিএআর সিদ্ধান্ত, সব মিলিয়ে জমজমাট এক ম্যাচের সাক্ষী হলো ফুটবলপ্রেমীরা। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও গোলশূন্য থেকে গেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
শুরুর দিকে মায়োর্কা গোলরক্ষকের ভুলে রিয়াল সমর্থকদের বুক ধকধক শুরু হয়েছিল। সহজ বল হাত ফসকে বেরিয়ে গিয়েছিল তাঁর কাছ থেকে। ভাগ্য ভালো, বিপদ হওয়ার আগেই আবার নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। এ দৃশ্য যেন ম্যাচের আগাম ইঙ্গিতই দিয়ে দিয়েছিল, আসতে যাচ্ছে এক রোমাঞ্চকর ৯০ মিনিট।
প্রথম কুলিং ব্রেকের পর দ্রুতই ম্যাচের রঙ পাল্টে দেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে এগিয়ে যায় তারা। ছোট করে নেওয়া কর্নার থেকে আলভারো কারেরাসের নিখুঁত ক্রসে ডিন হাউসেন হেডে বল বাড়ান, সেটি আবার জালে পাঠিয়ে সমতা ফেরান গুলার।
এরপরই আসল শো। ফেদেরিকো ভালভের্দের দারুণ পাস ধরে বক্সের সামনে থেকে এগোতে থাকেন ভিনিসিউস জুনিয়র। সামনে ছিলেন প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডার। চমৎকার ফিনিশিং দক্ষতায় বাঁ দিকে সরে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। দর্শক গ্যালারিতে তখন উল্লাসের ঝড়।
তবে সুযোগ নষ্টের হতাশা লিখতে হলো এমবাপ্পের নামের পাশে। ৪৩তম মিনিটে গিলেরের শট প্রতিহত হওয়ার পর বল পেয়ে যান তিনি, কিন্তু কাছ থেকে বাইরে মেরে বসেন। অল্প পরেই বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে সেটি গণনা হয়নি। ম্যাচজুড়ে দারুণ চেষ্টা করলেও ভাগ্য সহায় হলো না তাঁর।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল আরও একবার গোল পেয়ে যাচ্ছিল গুলারের কল্যাণে। মাস্তানতুয়োনোর শট মায়োর্কা গোলরক্ষক ঠেকানোর পর ডিফেন্ডারের ক্লিয়ার করতে গিয়ে গুলারের হাতে বল লাগে। রিবাউন্ডে তিনি জালে বল পাঠালেও দীর্ঘ ভিএআর পর্যালোচনার পর রেফারি হ্যান্ডবল ধরে গোল বাতিল করেন।
ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণের মুহূর্ত আসে ৬৬তম মিনিটে। মায়োর্কার সামু কস্তার ভয়ঙ্কর ভলি গোললাইন অতিক্রম করতেই যাচ্ছিল। কিন্তু নতুন যোগ দেওয়া স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলভারো কারেরাস দারুণ নৈপুণ্যে পা বাড়িয়ে বল ঠেকান। গোললাইন ক্লিয়ারেন্সে ম্যাচে রিয়ানের লিড অটুট থাকে।
৭২তম মিনিটে কোচ জাবি আলোন্সো কৌশলগত পরিবর্তনে মাঠে নামান দানি সেবাইয়োস, রদ্রিগো ও দানি কার্ভাহালকে। তুলে নেন দুই গোলদাতা গিলের ও ভিনিসিউসকে, সঙ্গে অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডকেও। এই পরিবর্তনে মাঝমাঠে নতুন প্রাণ ফিরে পায় রিয়াল।
শেষ মুহূর্তে আবারও আলো ছড়ানোর সুযোগ ছিল এমবাপ্পের সামনে। কিন্তু বক্সে তাঁর শট প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার। এদিন ভাগ্য মোটেও সঙ্গে দেয়নি বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ডকে। মৌসুমে প্রথমবার গোলশূন্য থাকলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত দুই গোলই রয়ে গেল ম্যাচের ফয়সালার কারণ হিসেবে। মায়োর্কা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করলেও রিয়ালেরর রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এমবাপ্পেরর অফফর্ম হলেও গিলের ও ভিনিসিউসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে লিগে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাদা জার্সিধারীরা।
আরও পড়ুন: