শিরোনাম
.jpg)
এখনো প্রস্তুত নয় ক্যাম্প ন্যু, বিপাকে বার্সেলোনা। ছবি: সংগৃহীত।
লা লিগার নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে মাঠে, কিন্তু বার্সেলোনার এখনো ঘরের মাঠে ফেরা হয়নি। দুই মৌসুম ধরে অস্থায়ী ঘর ‘অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে’ খেলতে থাকা স্প্যানিশ জায়ান্টরা ভেবেছিল এবারই ফিরবে নবনির্মিত ক্যাম্প ন্যুতে। কিন্তু বাস্তবতা অন্য কথা বলছে।
মৌসুমের প্রথম তিনটি ম্যাচই প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে হচ্ছে বার্সাকে। প্রথমে মায়োর্কা, এরপর লেভান্তে এবং তারপর রায়ো ভায়েকানোর মাঠ, সাধারণত এমনটি খুব কমই দেখা যায়, কিন্তু ক্লাবের নিজস্ব মাঠের প্রস্তুতি এখনো শেষ না হওয়ায় এর অন্য উপায়ও ছিল না।
বার্সার লক্ষ্য ছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরেই ক্যাম্প ন্যুতে ফিরবে দল। পরে সময় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মে নির্ধারণ করা হলেও কাজ শেষ হয়নি। সর্বশেষ আশা বেঁধে রাখা হয়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ভাগে। এ কারণেই লা লিগা কর্তৃপক্ষ তাদের প্রথম তিন ম্যাচ বাইরে খেলার অনুমতি দিয়েছে, যেন আন্তর্জাতিক বিরতির পর সরাসরি নিজেদের মাঠে ফেরা যায়।
কিন্তু বাধা এখানেই শেষ নয়। উয়েফা ইতিমধ্যেই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ২৮ আগস্টের মধ্যে জানাতে হবে বার্সা কখন থেকে ক্যাম্প ন্যুতে খেলা শুরু করবে। নিয়ম অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের চারটি হোম ম্যাচ একই ভেন্যুতে আয়োজন করতে হবে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্যাম্প ন্যু প্রস্তুত না হলে পুরো গ্রুপ পর্বই খেলতে হবে ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে, যার আসন সংখ্যা মাত্র ছয় হাজার।
এই পরিস্থিতি বার্সেলোনার জন্য ভয়াবহ হতে পারে। কারণ, ছোট স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন মানে রাজস্বে বড় ধরনের ক্ষতি। ক্লাবের আর্থিক সংকট যা এখনো বিদ্যমান, তাতে যোগ হবে নতুন ধাক্কা।
অন্যদিকে শহর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও এখনো মিলেনি। গত সপ্তাহে হোয়ান গ্যাম্পার ট্রফি আয়োজনের জন্য ক্যাম্প ন্যু ব্যবহার করতে চেয়েছিল বার্সা, কিন্তু অনুমতি না মেলায় ম্যাচ সরাতে হয় ইয়োহান ক্রুইফে। এই ঘটনা কেবল শঙ্কাকেই ঘনীভূত করেছে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ এখন চেষ্টা করছে অন্তত গ্যালারির দক্ষিণ দিক ও ভিআইপি অংশের কাজ শেষ করে প্রায় ৩০ হাজার দর্শক আসনের ব্যবস্থা করতে। এরপর ধাপে ধাপে সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই অবস্থায় উয়েফার কাছ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ আয়োজনের অনুমোদন চাইবে তারা। চূড়ান্ত লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজার আসন প্রস্তুত করা।
তবে যতই পরিকল্পনা থাকুক, বাস্তবতা হলো সময়ের ঘড়ি দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। সামনে রয়েছে উয়েফার সময়সীমা ও শহর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ঝামেলা। সব মিলিয়ে ক্যাম্প ন্যুতে দ্রুত ফেরা এখন বার্সেলোনার জন্য সময়ের সঙ্গে দৌড়।
আরও পড়ুন: