শিরোনাম
.jpg)
গাভি-লোপেজ দ্বন্দ্বে বার্সেলোনা ড্রেসিংরুমে অস্থিরতা। ছবি: সংগৃহীত।
বার্সেলোনার ড্রেসিংরুমে সম্পর্কের এক সময়কার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ উষ্ণতা এখন শীতল হয়ে এসেছে। তরুণ তারকা গাভি ও ফারমিন লোপেজের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নাকি শুরু হয়েছিল মাঠের বাইরে তাদের গার্লফ্রেন্ডদের অমিল থেকেই। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, দুই নারী কখনোই একে অপরকে পছন্দ করতেন না, আর সেই উত্তেজনা ধীরে ধীরে খেলোয়াড়দের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে।
গাভির ২১তম জন্মদিনে ফারমিনের নীরবতা না কোনো বার্তা, না কোনো শুভেচ্ছা ইতিমধ্যেই কপালে ভাঁজ ফেলেছিল সতীর্থদের। কিন্তু প্রকৃত বিস্ফোরণ ঘটে, যখন ফারমিন ইনস্টাগ্রামে একটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি হাঁটু গেড়ে উদযাপন করছেন। কয়েক মিনিট পরই তিনি শেয়ার করেন এক তীব্র বার্তা যা অনেকের চোখে গাভির উদ্দেশে ছোড়া তীর।
পোস্টে ফারমিন লেখেন, “খারাপ মানুষ কখনো জেতে না, যারা অন্যদিকে তাকায় তারাও নয়, যারা বিশ্বাসঘাতকতাকে জীবনের পথ বানায় ও কাপুরুষতাকে পতাকা বানায় তারাও নয়। সময়ই প্রমাণ দেবে। প্রতিদিন তারা হারে, কারণ প্রতিদিনের মেকআপ একসময় মুছে যায়, আর তারা আসল চেহারায় প্রকাশিত হয়।”
স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্ট জানিয়েছে, এই দ্বন্দ্বের পর গাভি ক্ষিপ্ত হয়ে সরাসরি বার্সার প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট উপদেষ্টা আলেহান্দ্রো একেভারিয়ার কাছে গিয়ে ফারমিনকে ট্রান্সফার তালিকায় রাখার অনুরোধ জানান। খবরটি দ্রুতই ফারমিনের কানে পৌঁছে যায়, যা নাকি তার ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে এবং ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্টের প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, “এখন আর ফেরার পথ নেই।” তবে একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে, তিনি হলেন বার্সা প্রধান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে দুজনকে বসিয়ে মুখোমুখি কথা বলিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য।
মাঠের খেলায় ফারমিনের দৃঢ়তা ও টেকনিক্যাল দক্ষতা বার্সার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। ফারমিন আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে নেই, ক্লাব বোঝে তিনি সেই অল্প কয়েকজন খেলোয়াড়ের একজন যাকে বিক্রি করে বড় অংকের ট্রান্সফার ফি পাওয়া সম্ভব। আর বার্সেলোনা বর্তমানে একটি বড় তারকা সাইনিংয়ের জন্য অর্থ জোগাড়ের চাপে থাকায়, উপযুক্ত প্রস্তাব পেলে ফারমিনকে বিক্রি করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্তর্কলহের এই আগুন এখনো পুরোপুরি নিভে যায়নি। মাঠে তার প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করছে কোচ ফ্লিকের মধ্যস্থতার ওপর। কিন্তু আপাতত বার্সার ভেতরে ভ্রাতৃত্বের গল্পে বিরতির চিহ্ন পড়েছে।
আরও পড়ুন: