শিরোনাম

উইলিয়ামস নয়, রাশফোর্ডেই আস্থা বার্সার সাবেক প্রেসিডেন্টের। ছবি: সংগৃহীত।
বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি জোয়ান গাসপার্ট আবারও আলোচনায়। স্প্যানিশ টিভি অনুষ্ঠান ‘এল ১০ দেল বার্সা’-তে দেওয়া এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে ক্লাবের বর্তমান অবস্থা, ব্যর্থ ট্রান্সফার, নতুন মৌসুমের সম্ভাবনা এবং ক্যাম্প ন্যুতে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন তিনি।
গাসপার্ট প্রথমেই বার্সেলোনার নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন, “বার্সা আমাকে উত্তেজিত করে। তারা যেমনভাবে শেষ করেছিল, সেভাবেই শুরু করেছে। দলে শক্তি আছে, খেলার ধরণে ধারাবাহিকতা আছে। আমরা এমন একটি স্কোয়াড গড়েছি, যেটি আমাদের অনেক আনন্দ দেবে।”
নতুন গোলকিপার জোয়ান গারসিয়ার প্রশংসা করে গাসপার্ট বলেন, “এই স্কোয়াড নিয়ে আমি আবারও গত মৌসুমের ফলাফল মেনে নিতে রাজি যদি সেটা চ্যাম্পিয়নস লিগের সঙ্গেও আসে।”
চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্লাবের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী হলেও বাস্তবতাও সামনে আনেন গাসপার্ট। বলেন, “গতবার আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম, কয়েক মিনিটের জন্য ফাইনালেই ছিলাম আমরা। এবারও চ্যালেঞ্জ থাকবে, অন্য ক্লাবগুলোও শক্তিশালী। তবে আমি মনে করি, আমাদের খেলোয়াড়রা জানে সমর্থকদের চ্যাম্পিয়নস লিগ উপহার দেওয়া তাদের দায়িত্ব।”
আলোচনার এক পর্যায়ে আসে আলোচিত নাম, নিকো উইলিয়ামস। অ্যাথলেটিক বিলবাও থেকে এই তরুণ উইঙ্গারকে দলে টানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। বিষয়টি নিয়ে গাসপার্ট বলেন, “মার্কাস রাশফোর্ড নিকোর চেয়ে ভালো, তাই ইনিয়াকি উইলিয়ামস কী বলল সেটা নিয়ে আমি ভাবি না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “নিকো আমাদের খুব ভালোভাবে ব্যবহার করেছে, ভালো একটা চুক্তি পেয়েছে, আমি খুশি তার জন্য। বিলবাও ক্লাবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। আমি জুবিজারেটাকে সেখান থেকেই দলে এনেছি।”
তবে গাসপার্টের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা। অর্থনৈতিক দিকটি নিয়ে তিনি বলেন, “সবাই ঘরে ফিরতে চায়, কিন্তু ৬০ হাজার সিজন টিকিটধারীর আয় আর মনজুইকে ১৫ হাজার দর্শকের মধ্যে পার্থক্য বিশাল।”
তিনি মনে করেন, প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়াই উচিত, “আমি প্রেসিডেন্টকে বলেছি, বলো ‘যখন পারবো তখন ফিরবো’। সময়টা আমাদের হাতে নেই; শহর কর্তৃপক্ষ, অগ্নি নির্বাপক সংস্থা, আইন-কানুন সব কিছুর উপর নির্ভর করে।”
শেষদিকে গাসপার্ট সম্মান জানালেন প্রজেক্টের প্রতি বর্তমান প্রেসিডেন্টের আবেগকে, তবে পরামর্শ দিলেন ‘অতিরিক্ত আশার’ পরিবর্তে বাস্তবতার নিরিখে আগাতে।
আরও পড়ুন: