শিরোনাম
.jpg)
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ইকুয়েডরের ফুটবলার জনাথন গঞ্জালেস। ছবি: সংগৃহীত।
ইকুয়েডরে আবারও রক্ত ঝরল ফুটবল অঙ্গনে। সশস্ত্র হামলায় প্রাণ হারালেন দেশটির দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব দে জুলিও এফসির খেলোয়াড় জনাথন গঞ্জালেস (৩১)। ভক্তদের কাছে ‘স্পিডি’ নামে পরিচিত এ ফুটবলারকে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় প্রদেশ এসমেরালদাসে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে এটি তৃতীয় ফুটবলারের হত্যাকাণ্ড।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কলম্বিয়া সীমান্তের কাছাকাছি এসমেরালদাস দীর্ঘদিন ধরেই মাদকচক্রের দখলে। পুলিশ জানিয়েছে, একদল সশস্ত্র ব্যক্তি স্থানীয় একটি বাড়িতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। সেখানেই নিহত হন গঞ্জালেস। ঘটনাস্থলে আরও একজন আহত হয়েছিলেন, তবে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান। তবে এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
কোকেন উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ কলম্বিয়া ও পেরুর মাঝামাঝি অবস্থানে হওয়ায় ইকুয়েডর হয়ে উঠেছে মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান রুট। এখান থেকেই বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ শতাংশ কোকেন পাচার হয়। এর জেরে দেশটিতে ভয়াবহভাবে বেড়েছে হত্যার হার। ২০১৮ সালে প্রতি লাখে যেখানে খুনের সংখ্যা ছিল ৬ জন, সেখানে ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭, দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত বছর কিছুটা কমে দাঁড়ালেও হার ছিল প্রতি লাখে ৩৮।
এর আগে চলতি মাসেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মান্টা শহরে দ্বিতীয় বিভাগের দল এক্সাপ্রোমো কোস্টা এফসির দুই ফুটবলার মাইকোল ভ্যালেন্সিয়া ও লিয়ান্দ্রো ইয়েপেজকে গুলি করা হয়েছিল। ভ্যালেন্সিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান, আর ইয়েপেজ দুদিন পর হাসপাতালে প্রাণ হারান। ক্লাবটির দাবি ছিল, ফুটবলারদের টার্গেট করে নয়, অন্য কাউকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল।
জনাথন গঞ্জালেস এর আগে খেলেছেন প্যারাগুয়ের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব অলিম্পিয়া এবং মেক্সিকোর লিওনের হয়ে। তাঁর অকাল মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) এবং স্থানীয় ক্লাবগুলো।
আরও পড়ুন: