ফেরার অপেক্ষায় সিরাপ খেয়ে নিষিদ্ধ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২২

শেয়ার

ফেরার অপেক্ষায় সিরাপ খেয়ে নিষিদ্ধ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার
আলেহান্দ্রো দারিও গোমেজ। ছবি: সংগৃহীত।

ছোটখাটো গড়নের হলেও মাঠে তিনি ছিলেন বহুমুখী আক্রমণভাগের অস্ত্র। কখনো ফরোয়ার্ড, কখনো উইঙ্গার, আবার কখনো অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, সব জায়গাতেই খেলতে পারতেন সমান স্বাচ্ছন্দ্যে। আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা আর সর্বোপরি বিশ্বকাপজয়ী সেই ফুটবলারই আলেহান্দ্রো দারিও গোমেজ, যাকে সারা দুনিয়া চেনে পাপু গোমেজ নামে।

 

তবে বিশ্বকাপজয়ের আনন্দের অল্প সময় পরই তাঁর জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ অন্ধকার। সেভিয়ায় খেলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। দ্রুত সেরে উঠতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খেয়ে ফেলেছিলেন ছেলের কাশির সিরাপ। পরে জানা যায়, ওই সিরাপে ছিল নিষিদ্ধ বিটা২-অ্যাড্রেনার্জিক উপাদান। ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে যান গোমেজ।

 

ফলাফল, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইতালিয়ান ক্লাব মোনৎসায় খেলার সময় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। শাস্তি ঘোষণার পর একেবারে ভেঙে পড়েন এই আর্জেন্টাইন তারকা। একসময় মনে হয়েছিল, ফুটবলই যেন মারা গেছে তাঁর কাছে। টিভি বন্ধ করে রাখা, ম্যাচ এড়িয়ে চলা, এভাবেই কেটেছে কয়েক মাস। পরে মনোবিদের সাহায্য নিয়ে ধীরে ধীরে ফেরেন মানসিক অন্ধকার থেকে।

 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোমেজ স্পষ্ট করেছেন ক্ষোভ। তাঁর ভাষায়, “কেউ কোকেন বা গাঁজা সেবন করলে নিষিদ্ধ হয় ছয় মাস, আর আমি ভুলবশত ছেলের কাশির ওষুধ খেয়ে পেলাম দুই বছর। এটা কি ন্যায্য?”

 

এমন অন্যায় মনে হওয়া শাস্তির মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবে পাপু গোমেজ লড়াই ছাড়েননি। “কেন আমাকে জোর করে অবসর নিতে হবে? যদি আমার সময় না এসে থাকে, তাহলে দুই-তিনজন স্যুট পরা মানুষ কেন সিদ্ধান্ত নেবে আমার ভবিষ্যৎ?”, বলেন ক্ষুব্ধ গোমেজ।

 

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর প্রায় শেষ। নিষেধাজ্ঞা কাটছে ১৮ অক্টোবর। ইতোমধ্যে তিনি নতুন ক্লাবও খুঁজে নিয়েছেন। ইতালির সিরি বি লিগের ক্লাব পাভোদার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন। আপাতত ব্যক্তিগত অনুশীলনে মনোযোগী তিনি।