মাঠে নামার আগে বাংলাদেশকে সমীহের চোখে দেখছেন আসালাঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৩

শেয়ার

মাঠে নামার আগে বাংলাদেশকে সমীহের চোখে দেখছেন আসালাঙ্কা
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত।

এশিয়া কাপে আবারও আসছে সেই বহুল আলোচিত ‘নাগিন ডার্বি’। গ্রুপপর্বে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছে টাইগাররা, এবার দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই সিংহদের বিপক্ষে। অন্যদিকে লঙ্কানদের জন্য এটি এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম পরীক্ষা।

 

কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়লেও শেষ দুই ম্যাচ জিতে দাপটের সঙ্গে সিরিজ নিজের করে নেয় তারা। তাই এশিয়া কাপে নতুন করে শুরু হচ্ছে বাঘে-সিংহে দ্বৈরথ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ম্যাচ ঘিরে মাঠের লড়াই যেমন তীব্র হয়েছে, তেমনি উত্তেজনাও ছড়িয়েছে দর্শক-সমর্থকদের মাঝে।

 

তবে ম্যাচের আগে লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা বাংলাদেশের শক্তিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সম্প্রতি দারুণ ক্রিকেট খেলছে। কিছুদিন আগেই আমরা নিজেদের মাঠে তাদের কাছে হেরেছি। যদিও সিরিজ হেরেছি, আমার মনে হয়েছে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এবারও বেসিক মেনে চলা আর পরিকল্পনা কাজে লাগানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

 

দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আসালাঙ্কার মন্তব্য, “রাইভালরি আসলে সমর্থকদের জন্য। আমাদের কাছে এটি শুধু একটি চ্যালেঞ্জ, আরেকটি ম্যাচ। আমরা প্রতিটি দলের বিরুদ্ধেই সেরা খেলাটা খেলতে চাই।”

 

আবুধাবির কন্ডিশন নিয়েও আশাবাদী লঙ্কান অধিনায়ক। তার ভাষায়, “আমার কাছে ইউএইতে খেলার জন্য আবুধাবিই সেরা জায়গা। বল পুরনো হলে ব্যাটিং সহজ হয়ে যায়, আউটফিল্ডও দ্রুতগতির। ব্যাটাররা এখানে খেলতে ভীষণ উপভোগ করে।”

 

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কাই এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন (২০২২)। ভারত জিতেছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের ২০২৩ আসর। তাই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামতে চান আসালাঙ্কা। তিনি বলেন “চ্যাম্পিয়ন হওয়া অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমাদের খেলোয়াড়রা অনেক অভিজ্ঞ। আমরা জানি, টুর্নামেন্টে দূর পর্যন্ত যাওয়ার সামর্থ্য আমাদের আছে। তবে আমরা অতীত জয় নিয়ে ভাবি না, বরং প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কীভাবে পরিকল্পনা কাজে লাগাব, সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার।”

 

বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক রেকর্ড অবশ্য লঙ্কানদের পক্ষেই। আসালাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস কিংবা কুশল পেরেরা অনেকবারই টাইগারদের বিপক্ষে জ্বলে উঠেছেন। পেসার নুয়ান থুসারাও বাংলাদেশকে পেলেই আলাদা তেজ দেখান। তাই কঠিন এক পরীক্ষার মুখে পড়বে সাকিব-তাওহীদ-লিটনরা। জয় পেলে একধাপ এগিয়ে যাবে সুপার ফোর নিশ্চিত করার পথে।

 

আবুধাবিতে আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচেই নির্ধারিত হতে পারে গ্রুপপর্ব থেকে কারা টিকে থাকবে পরবর্তী রাউন্ডে।