মেসিকে টপকে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রোনালদো

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩

শেয়ার

মেসিকে টপকে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রোনালদো
আরমেনিয়ার বিপক্ষে গোল করে রোনালদোর উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত।

বয়স বাড়লেও মাঠে পারফরম্যান্সে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই এখনো সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই মহাতারকা। কয়েক দিন আগে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন মেসি। আর ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইয়ে নামতে নেমেই রোনালদোও জ্বলে উঠলেন জোড়া গোলের মাধ্যমে।

 

আর্মেনিয়ার মাঠে শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে  নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলের বড় জয় তুলে নেয় পর্তুগাল। জোড়া গোল করেন রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স, একটি গোল করেন জোয়াও কান্সেলো। এই ম্যাচে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রোনালদোর গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৩৮-এ, যা তাকে মেসির ওপরে নিয়ে গেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে। শুক্রবার জোড়া গোল করে মেসি রোনালদোকে ধরেছিলেন (৩৬ গোল নিয়ে)। কিন্তু এক ম্যাচের ব্যবধানে আবারও আর্জেন্টাইন তারকাকে পেছনে ফেললেন সিআরসেভেন। এখন তিনি এক নম্বরে থাকা গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজকে ছোঁয়ার দোরগোড়ায়।

 

ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম গোল করেন রোনালদো। পেদ্রো নেতোর ক্রসে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জালের দেখা পান পর্তুগিজ তারকা, যা তার জাতীয় দলের হয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে গোল। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই দূরপাল্লার দুর্দান্ত এক শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

 

এই দুই গোলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ১৪০ (১২২ ম্যাচে)। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় রোনালদোর সামনে এখন কেবল রুইজ, যিনি ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৩৯ গোল। তুলনায় মেসি করেছেন ৭২ ম্যাচে ৩৬ গোল। আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যেই ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করায় তাদের আর একটি মাত্র বাছাই ম্যাচ বাকি, যেখানে মেসি খেলবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। ফলে রোনালদোকে ধরার সুযোগ আর থাকছে না তার।

 

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা:

 

কার্লোস রুইজ (গুয়াতেমালা) – ৩৯ গোল, ৪৭ ম্যাচ

 

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল) – ৩৮ গোল, ৪৮ ম্যাচ

 

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) – ৩৬ গোল, ৭২ ম্যাচ

 

আলি দায়েই (ইরান) – ৩৫ গোল, ৫১ ম্যাচ

 

রবার্ট লেভান্ডফস্কি (পোল্যান্ড) – ৩১ গোল, ৪০ ম্যাচ

 

লুইস সুয়ারেজ (উরুগুয়ে) – ২৯ গোল, ৬৪ ম্যাচ

 

এদিকে ইউরোপ অঞ্চলে এখনই যাত্রা শুরু করেছে পর্তুগাল। ‘এফ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ আর্মেনিয়া, আয়ারল্যান্ড ও হাঙ্গেরি। প্রতিটি দল হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে দু’বার করে মুখোমুখি হবে। এখান থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা সরাসরি টিকিট পাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে। আর রানার্সআপ ১২ দল প্লে-অফ খেলে লড়বে বাকি ৪ আসনের জন্য।