শিরোনাম

পর্তুগালের তিন গোলদাতা রোনালদো, ফেলিক্স ও কান্সেলো। ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় দলের জার্সিতে নামলেই যেন গোলের নিশ্চয়তা দেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। আবারও তাই হলো আর্মেনিয়ার মাঠে। দুবার জালে বল পাঠালেন তিনি। সমান সংখ্যক গোল করলেন জোয়াও ফেলিক্সও। জোয়াও কান্সেলোর সৌভাগ্যবান এক গোল যোগ হয়ে শনিবার রাতে পর্তুগাল পেল দাপুটে জয়। প্রতিপক্ষকে ৫-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই অভিযানে শুভসূচনা করল রবের্তো মার্তিনেসের দল। গত জুলাইয়ের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সতীর্থ দিয়েগো জোতাকে স্মরণ করেই মাঠে নেমেছিল পর্তুগাল। বড় জয়ের পর রোনালদো-ফেলিক্সদের প্রতিটি উদযাপনে বারবার ভেসে উঠছিল তার স্মৃতি।
ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ছয় নম্বর দল পর্তুগাল। ২৪টি শট নেয় তারা, এর মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে র্যাঙ্কিংয়ে ১০৫ নম্বরে থাকা আর্মেনিয়া সাতটি শটের তিনটিই রাখতে পারে লক্ষ্যে। তবে তাতে কোনো হুমকি তৈরি হয়নি পর্তুগিজদের জন্য।
শুরুতেই গোলের ধারা খোলেন ফেলিক্স। দশম মিনিটে জোয়াও কান্সেলোর ক্রসে দারুণ এক হেডে জালে বল জড়ান তিনি। ২১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। পেদ্রো নেতোর বাড়ানো ক্রসে শূন্যে পা বাড়িয়ে নিখুঁত ছোঁয়ায় জাল খুঁজে নেন পর্তুগাল অধিনায়ক। জাতীয় দলের হয়ে টানা চার ম্যাচে গোল পাওয়া রোনালদোর জন্য এটি ছিল বিশেষ মুহূর্ত।
এরপরও আক্রমণের ধার কমেনি। গোলরক্ষকের ফিরিয়ে দেওয়া বল থেকে সতীর্থের সহায়তায় ব্যবধান বাড়ান কান্সেলো। গোল উদযাপনে প্রয়াত সতীর্থ দিয়োগো জটার ভঙ্গি অনুসরণ করে আবেগঘন মুহূর্ত সৃষ্টি করেন তিনি। বিরতির পর ফের গোলের দেখা পান রোনালদো। মাত্র ৪৬ সেকেন্ডের মাথায় প্রায় ২২ গজ দূর থেকে তার নেওয়া শট জালে পৌঁছে যায়।
এই দুই গোলের সুবাদে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রোনালদোর মোট গোল হলো ৩৮। লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলে এখন এককভাবে তালিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। শীর্ষে থাকা গুয়াতেমালার কিংবদন্তি কার্লোস রুইসকে ছাড়িয়ে যেতে আর মাত্র দুই গোল প্রয়োজন তার। জাতীয় দলের হয়ে রোনালদোর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৪০, খেলেছেন ২২২ ম্যাচ।
সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে রোনালদোর গোল সংখ্যা এখন ৯৪২। ফুটবল ইতিহাসে অভূতপূর্ব মাইলফলক হাজার গোলের পথে আরও এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। লক্ষ্য এখন সেই জাদুকরি ১০০০ গোলের ছোঁয়া।
রোনালদোর বিদায়ের পরেও গোল পেয়েছে পর্তুগাল। ৬১তম মিনিটে কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় জালে বল জড়ান ফেলিক্স, পূর্ণ করেন নিজের জোড়া গোল। শেষ দিকে আর্মেনিয়া কিছুটা আক্রমণে উঠলেও ব্যবধান কমাতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত গোল উৎসবের রাতেই পর্তুগাল নিশ্চিত করে তিন পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: