শিরোনাম

পর্তুগালের প্রয়াত ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা। ছবি: সংগৃহীত।
দিয়োগো জোতার নাম উচ্চারণ মানেই এখন শোক আর স্মৃতির আবেশ। তার অনুপস্থিতি যেন প্রতিটি আলোচনায় ব্যথার স্রোত বয়ে আনে। পর্তুগালের সর্বশেষ স্কোয়াড ঘোষণাতেও সেই আবেগ স্পষ্টভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রয়াত এই তারকাকে ঘিরেই বিশ্বকাপ বাছাই মিশনে দলকে অনুপ্রাণিত করতে চাইছেন কোচ রবের্তো মার্তিনেস।
জোতা গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঘোষিত দলে নেই। অথচ ৬ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়া এবং ৯ সেপ্টেম্বর হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচে তিনি থাকলে কারো অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কিন্তু ৩ জুলাইয়ের ভয়াবহ দুর্ঘটনা সেই সম্ভাবনাকে চিরতরে শেষ করে দিয়েছে। ভাই আন্দ্রে সিলভার সঙ্গেই জীবনের প্রান্তরেখা পেরিয়ে গেছেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
তবুও কোচ মার্তিনেসের কাছে জোতা রয়ে গেছেন দলের ভেতরেই। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “জোতাকে ছাড়া এটাই প্রথম ক্যাম্প। আমরা জানি, সে আমাদের দলের অংশ ছিল কতটা গভীরভাবে। তার প্রভাব প্রতিদিন অনুভব করি আমরা। তার স্মৃতি আমাদের প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করবে।”
মার্তিনেস আরও যোগ করেন, “২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পথে আমরা তাকে অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে সঙ্গে রাখব। স্কোয়াডে নাম থাকছে ২৩ জনের, কিন্তু বাস্তবে আমরা মাঠে নামব ২৩+১ নিয়ে কারণ জোতা সবসময় আমাদের সঙ্গে।”
একই সঙ্গে বিশেষ একটি ঘোষণা দেন পর্তুগাল কোচ। জোতার প্রিয় ২১ নম্বর জার্সি এখন থেকে পরবেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু হুবেন নেভস। জাতীয় দলে ও ক্লাব ফুটবলে একসঙ্গে খেলার সুবাদে নেভস ও জোতার বন্ধুত্ব ছিল সবারই জানা। বন্ধুর শেষকৃত্যে কফিন বহনকারীদের একজন ছিলেন নেভস নিজেই। তাই তার হাতে জার্সি তুলে দেওয়াটা যেন আবেগ ও প্রতিশ্রুতির প্রতীক।
শুধু বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া নয়, প্রয়াত সতীর্থের স্বপ্ন পূরণে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যও স্পষ্ট করেছেন মার্তিনেস, “দিয়োগোর না থাকা আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করেছে। সে বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিল। তাই আমরা লড়ব, সম্ভাব্য সবটুকু দিয়ে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করব।”
জাতীয় দলে জোতার জার্সি নম্বর ছিল ২১, যদিও লিভারপুলে তিনি খেলতেন ২০ নম্বর জার্সি পরে। এই নম্বরটিই এখন নেভস বহন করবেন তার বন্ধুর স্মৃতির প্রতীক হয়ে।
বন্ধুর মৃত্যুতে আবেগাপ্লুত হয়ে নেভস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, “যখনই জাতীয় দলে ডাক পাব, তুমি আমার পাশে থাকবে, ডিনার টেবিলে, বাসে, প্লেনে… ঠিক আগের মতোই। আমরা হাসব, কথা বলব, একসঙ্গে সময় কাটাব, যেমন সবসময় করতাম।”
আরও পড়ুন: