অক্টোবরে এশিয়া মাতাতে আসছে ব্রাজিল

সেপ্টেম্বরে শেষ দুই রাউন্ডের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করতে যাচ্ছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল যথাক্রমে ৫ ও ১০ সেপ্টেম্বর চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে। এর বাইরে ২০২৬ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত নিজেদের প্রস্তুতি আরও উন্নত করতে অন্তত ছয়টি প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। সেই প্রীতি ম্যাচের সূচি এশিয়া সফর দিয়ে শুরু হওয়ার কথা, যা আজ (২৬ আগস্ট) জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত করেছে সেলেসাওরা।

সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্রাজিলের আসন্ন দুটি প্রীতি ম্যাচের সম্ভাব্য সূচি জানিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো। সেই সূচি মিলেছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সঙ্গে। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এশিয়া সফরে চারদিনের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ১০ অক্টোবর সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এবং ১৪ অক্টোবর টোকিও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জাপানের বিপক্ষে লড়াই করবে সেলেসাওরা।

এই একই স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করেছিল ব্রাজিল ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে তিতের অধীনে ব্রাজিল এশিয়ান দেশগুলো সফর করেছিল এবং সেই সময় নির্ধারিত ভেন্যুতে ম্যাচ খেলেছিল। সিউলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১ এবং টোকিও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল সেলেসাওরা।

এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপের আগেও ব্রাজিল জাপানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ফ্রান্সের লিলে জাপানের সঙ্গে ম্যাচে ৩-১ ব্যবধানে জেতার স্মৃতি আছে। এছাড়া ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দেখা হয়েছিল রাউন্ড অব সিক্সটিনে, যেখানে সেলেসাওরা ৪-১ গোলে জয়ী হয়েছিল।

ব্রাজিল জাতীয় দলের নির্বাহী সমন্বয়ক রদ্রিগো কায়েতানো বলেন, “বিশ্বকাপের অন্যান্য আসরে জাপান ও কোরিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। এসব লড়াই ভিন্ন ধাঁচের, ভিন্ন স্টাইল ও খেলোয়াড়দের মধ্যে হয়, যারা পুরো মাঠজুড়ে নিজেদের ছাপ রাখে। বিশ্বকাপের আগে আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতির জন্য এই দুই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছি।”