শিরোনাম
.jpg)
ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে কুশল ও কামিন্দু মেন্ডিস। ছবি: সংগৃহীত।
শ্রীলঙ্কা না বাংলাদেশ, চাপে আসলে কোন দল ছিল? হয়তো এর সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে এটুকু নিশ্চিত, আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয়ের পর যেমন আনন্দে ফেটে পড়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটির মানুষ, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও ঠিক ততটাই খুশি হয়েছেন। কারণ এই জয়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশের জন্য খুলে গেছে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দরজা।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ওঠানামার ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা। নবম আকাশে থাকা মোহাম্মদ নবীর ঝড়ো ব্যাটিং শেষ ওভারে যেন পুরো গল্পটাই উল্টে দিচ্ছিল। ভেল্লালাগের এক ওভার থেকে একাই তুলে নেন ৩২ রান, হাঁকান টানা পাঁচ ছক্কা। ২১ বলে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নবী বয়সের রেকর্ডেও জায়গা করে নেন, ৪০ বছর ২৬০ দিনে তিনি টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বাধিক বয়সী হাফসেঞ্চুরিয়ান, ক্রিস গেইলের পরেই। নবীর ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান দাঁড় করায় ১৬৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ।
এতকিছুর পরও শ্রীলঙ্কার সমীকরণটা ছিল সহজ, জিততে না পারলেও ১০১ রান তুললেই যথেষ্ট। তাতে বাংলাদেশ বাদ, আফগানিস্তান সঙ্গী হয়ে পেতো সুপার ফোরের টিকিট। কিন্তু লঙ্কানদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি শুধু অঙ্ক মেলাতেই নামা। শুরু থেকেই তারা খেলেছে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে, সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে গেছে জয়ের দিকেই। ওপেনিংয়ে কুশল মেন্ডিস ও পাতুম নিশাঙ্কার ঝড়ো শুরুতে আসে ২২ রান। পরে নিয়মিত উইকেট পড়লেও মেন্ডিস একপ্রান্ত আগলে রাখেন। কামিন্দু মেন্ডিস যোগ দিলে ম্যাচই পাল্টে যায়।
কামিন্দু–কুশলের ব্যাটিং জুটিতে দ্রুত আসে রান, ২৩ বলে ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তারা। শেষ পর্যন্ত ৮ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। মুজিব উর রেহমানকে টানা দুই চার মেরে সমীকরণের সব চাপ মুছে দেন কুশল মেন্ডিস। তার পরই উল্লাসে চিৎকারে ভরে ওঠে আবুধাবির মাঠ—যা যেন প্রতিধ্বনিত হয় বাংলাদেশের টিম হোটেল থেকে শুরু করে ঢাকা–চট্টগ্রাম–সিলেটের রাস্তাঘাটেও।
বাংলাদেশের জন্যও এই জয় ছিল বাঁচার টিকিট। অঙ্ক মেলানোর কোনো ঝামেলা ছাড়াই আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে সুপার ফোরে জায়গা মিলেছে। তবে এখানেই থামলে চলবে না, নতুন করে শুরু করতে হবে শূন্য থেকে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলঙ্কাই, যারা হাত ধরে তুলেছে তাদের। এরপর ভারত (২৪ সেপ্টেম্বর) আর পাকিস্তানের (২৫ সেপ্টেম্বর) বিপক্ষে ম্যাচ। এবার চাওয়া একটাই, ফাইনালে যেতে যেন নতুন কোনো অঙ্ক কষতে না হয়।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (নবী ৬০, জাদরান ২৪, রশিদ ২৪, আতাল ১৮, গুরবাজ ১৪; তুষারা ৪/১৮, শানাকা ১/২৯, ভেল্লালাগে ১/৪৯, চামিরা ১/৫০)। শ্রীলঙ্কা: ১৮.৪ ওভারে ১৭১/৪ (কুশল মেন্ডিস ৭৪*, কুশল পেরেরা ২৮, কামিন্দু মেন্ডিস ২৬*, আসালাঙ্কা ১৭; ওমরজাই ১/১০, নবী ১/২০, নুর ১/৩৭, মুজিব ১/৪২)। ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুশল মেন্ডিস
আরও পড়ুন: