শিরোনাম

ছয় মেরে দলকে জয়ের বন্দরে ফেরান অধিনায়ক সুরিয়াকুমার। ছবি: সংগৃহীত।
এশিয়া কাপের বহুল প্রতীক্ষিত ‘মহারণ’ কে পাড়ার ক্রিকেট বানিয়ে পাকিস্তানের সাথে ছেলেখেলা করে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের দল। প্রথমে বল হাতে কুলদীপ-অক্ষর বুমরাহ’র বোলিং তোপে পাকিস্তানকে মাত্র ১২৭ রানে থামিয়ে ব্যাট হাতে অভিষেক শর্মা-সুরিয়াকুমার ঝড়ে ২৫ বল হাতে থাকতেই জিতেছে ভারত।
শুরুতেই যেন ম্যাচের গতি বদলে দিলেন অভিষেক শর্মা। ইনিংসের গোড়াতেই ঝড় তুললেন এই তরুণ বাঁহাতি। মাত্র ১৩ বলে চারটি চার আর দুই ছক্কায় খেললেন ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তার এই বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েই ভারত পেয়ে যায় দারুণ সূচনা।
শুবমান গিল যদিও মাত্র ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন, স্টাম্পড হন মোহাম্মদ হারিসের গ্লাভসে সাইম আয়ুবের বলে। এরপর অভিষেককেও থামান সেই সাইম, যখন তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। তবে তার আগেই রান তোলার গতিটা সেট করে দিয়েছিলেন তিনি।
মাঝে তিলক ভার্মা ৩১ বলে ৩১ করে আউট হন। অন্যদিকে অধিনায়ক সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ছিলেন দৃঢ় ও সপ্রতিভ। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলেছেন, পায়চারির ভঙ্গিতে এগিয়ে গেছেন জয়ের দিকে। এক প্রান্তে তিনি ৪৭ রানের নান্দনিক ইনিংস সাজালেন, যেখানে ছিল পাঁচটি চার আর একটি ছক্কা। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন শিবম দুবে (৭ বলে ১০*, ১ ছক্কা)।
ভারত শেষ পর্যন্ত ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান তুলে সহজেই জয় তুলে নেয়। পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে একমাত্র কার্যকর ছিলেন সাইম আয়ুব। তার চমকেই কাঁপন লেগেছিল ভারতের ব্যাটিংয়ে। অভিষেক, শুবমান আর তিলক, এই তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। তবে বাকি বোলাররা ছিলেন প্রায় নিষ্প্রভ।
শাহীন শাহ আফ্রিদি দুই ওভারে খরচ করলেন ২৩ রান, কোনো সাফল্য নেই। মোহাম্মদ নওয়াজ দিলেন ৩ ওভারে ২৭, সুফিয়ান মুকিম ২.৫ ওভারে ২৯। কেবল আবরার আহমেদ কিছুটা শৃঙ্খলা দেখিয়ে ৪ ওভারে দিলেন মাত্র ১৬ রান, তবে উইকেটের দেখা পাননি।
শেষটা হলো নাটকীয়তায় ভরা। নিজের জন্মদিনে অধিনায়ক সুরিয়া ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করলেন। ২৪ বল হাতে রেখেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত।
বল হাতে অবশ্য ম্যাচের আসল নায়ক ছিলেন কুলদীপ ইয়াদাভ। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। সেই পারফরম্যান্সেই পেলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন: