পুর্ণ সদস্যের দলগুলোর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯

শেয়ার

পুর্ণ সদস্যের দলগুলোর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড
লজ্জার রেকর্ডে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ, নেপথ্যে তানজিদ-ইমন। ছবি: সংগৃহীত।

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো রান না তুলেই দুই উইকেট হারানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। পূর্ণ সদস্য দেশগুলোকেই যদি ধরা হয়, এমন ঘটনা ঘটেছে মোট নয়বার। তবে আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকালের (১৩ সেপ্টেম্বর) ম্যাচে বাংলাদেশের যে অভিজ্ঞতা হলো, সেটি অন্যসব ঘটনার চেয়ে আলাদা, আর সেই আলাদা হওয়াটা আরও বিব্রতকর। 

 

এশিয়া কাপের ম্যাচে প্রথম ওভারের শেষ বলে আউট হন ওপেনার তানজিদ হাসান। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন। তখনও দলের খাতা খোলেনি। অবশেষে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথম রান পায় বাংলাদেশ।

 

এর আগে সবচেয়ে বাজে শুরু হিসেবে পরিচিত ছিল জিম্বাবুয়ের ২০১০ সালের এক ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে তারা প্রথম ওভারেই হারায় একটি উইকেট এবং খেলেছিল টানা দুই ওভার মেডেন। তবে সেদিন অন্তত একটি রান এসেছিল দ্বিতীয় ওভারের মধ্যেই।

 

পাকিস্তানও খুব কাছাকাছি গিয়েছিল। এ বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে তারা শূন্য রানে ২ উইকেট হারালেও দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ইরফান খান রান নিয়ে চাপ ভেঙেছিলেন। তাদের স্কোর ছিল ২ ওভারে ২ উইকেটে ১।

 

কিন্তু আবুধাবিতে বাংলাদেশ সেটিও পারেনি। নুয়ান তুষারার প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারে দুষ্মন্ত চামিরাও দেন মেডেন। এভাবে টানা ১২ বল রানশূন্য থেকে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পূর্ণ সদস্য দলগুলোর সবচেয়ে বাজে সূচনা লিখে দিল বাংলাদেশ। ফলও হয়েছে তাই, ১৩৯ রানের বেশি পুঁজি গড়তে পারেনি দল, শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৬ উইকেটে।

 

উল্লেখ্য, প্রথম দুই ওভার মেডেন যাওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত সাতবার ঘটেছে। এর মধ্যে পূর্ণ সদস্য দেশের অংশগ্রহণ আছে তিনবার, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ–জিম্বাবুয়ে ম্যাচে, ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া–আমিরাত ম্যাচে এবং এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা।

 

অন্যদিকে, শূন্য রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো দেখল বটে, কিন্তু শ্রীলঙ্কার বোলাররা এমন দৃশ্য উপহার দিয়েছে আরও আগে দুবার, ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।