শিরোনাম

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। ছবি: সংগৃহীত।
গত এপ্রিলে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ নিরপরাধ মানুষ। সেই ঘটনার রেশ কাটেনি এখনও। নিহতদের পরিবারের শোক আর ক্ষোভ আজও সমান জ্বলজ্বল করছে।
সেই শোকের অংশীদার সঞ্জয় দ্বিবেদী। হামলায় তিনি হারিয়েছেন নিজের ছেলেকে। তাই এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথের খবর শুনে ক্ষুব্ধ তিনি। সঞ্জয়ের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে খেলাধুলা থেকে শুরু করে যেকোনো সম্পর্কই বন্ধ করা উচিত।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পাকিস্তান আমাদের ২৬ জন মানুষকে হত্যা করেছে। ভারত সরকার বলেছিল, রক্ত আর পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। এখন যখন শুনছি পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ হবে, শুধু আমি নই, পুরো দেশ এর বিরোধিতা করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে খেলাধুলা হোক বা রাজনীতি, কোনো সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।”
ভারত সরকারের অবস্থানও অনেকটা সেদিকেই। সাম্প্রতিক নীতিমালায় বলা হয়েছে—বহুজাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা যাবে, তবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে নয়। বাস্তবেও তাই। সর্বশেষ ২০১৩ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দেখা হয়েছিল দুই দলের। বাকি সব লড়াই সীমাবদ্ধ এসিসি ও আইসিসির টুর্নামেন্টে।
এদিকে মাঠের ক্রিকেটে শুরুটা দুর্দান্ত দুই দলেরই। দুবাইয়ে স্বাগতিক আমিরাতকে মাত্র ৫৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটে জিতেছে সূর্যকুমার যাদবের ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তানও প্রথম ম্যাচে ৯৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে ওমানের বিপক্ষে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়েই মুখোমুখি হবে। শুধু গ্রুপ পর্বেই নয়, সুপার ফোরেও (২১ সেপ্টেম্বর) দেখা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। এমনকি দুই দল যদি ফাইনালেও ওঠে, তাহলে এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও পাকিস্তান।
পেহেলগামের শোক এখনো তাজা। তাই এক পক্ষ চাইছে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই না থাকুক। অন্যদিকে ক্রিকেটের বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হওয়া এড়ানো যাচ্ছে না। মাঠে ম্যাচ যতই উত্তেজনাপূর্ণ হোক, গ্যালারির বাইরে এই দ্বন্দ্বের আবেগও কম কিছু নয়।
আরও পড়ুন: