শিরোনাম

নরওয়ের তারকা ফরোয়ার্ড আর্লিং হলান্ড। ছবি: সংগৃহীত।
অসলোর উলেভাল স্টেডিয়ামে সেই রাতটা ক্রিস্তিয়ান আভরামের জন্য হয়তো কখনোই ভুলবার নয়। মলদোভার গোলরক্ষক বারবার ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, হাত-পা ছুড়ে প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছেন। কিন্তু বল যেন তাঁকে বারবার ফাঁকি দিয়েই জালে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত ক্লান্তি আর হতাশায় মাঠেই বসে পড়েন আভরাম। একবার নয়, বারবার জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হয়েছে তাঁকে। শেষমেশ সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১১–তে!
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নরওয়ের কাছে ১১–১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে মলদোভা। দেশের ফুটবল ইতিহাসে এটি তাদের সবচেয়ে বড় হার। আর সেই রাতের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন আর্লিং হলান্ড। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় সুপারস্ট্রাইকার একাই করেছেন ৫ গোল।
এই কীর্তির মধ্য দিয়ে লিওনেল মেসির পাশে নাম লিখিয়েছেন হলান্ড, ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচে ৫ গোল করার রেকর্ড এখন কেবল এই দুজনের।
তবে নিজের আনন্দঘন রাতেও প্রতিপক্ষের বেদনা অনুভব করেছেন হলান্ড। খেলা শেষে তিনি এগিয়ে যান আভরামের কাছে, সান্ত্বনা দেন, এমনকি ক্ষমাও চান। আভরাম নিজেই জানিয়েছেন, “আর্লিং আমার সঙ্গে কথা বলেছে। সে বলেছে, গোলগুলো খাওয়ায় আমার কোনো দোষ নেই। ব্যবধান বাড়ানো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তাই সে থামেনি। শেষে এসে সান্ত্বনা দিয়েছে আমাকে।”
নিজের হতাশা নিয়েও আভরাম রেখেছেন রসিকতা। নরওয়ের টেলিভিশন চ্যানেল টিভি২–কে তিনি বলেন, “হ্যালো, আমি সেই গোলকিপার, যে ১১ গোল খেয়েছে।” তারপর যোগ করেন, “কী আর বলব! মাঠে মরিনি তো, বেঁচে আছি। এখন শক্ত হতে হবে। সামনে আরও ম্যাচ আছে। তবে হ্যাঁ, ১১ গোল অনেক বেশি হয়ে গেছে।”
অন্যদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে এবং গোল ব্যবধানের দিক থেকেও এগিয়ে থেকে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নকে একেবারেই ছুঁয়ে ফেলেছে নরওয়ে। ‘আই’ গ্রুপে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইতালি, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া আর মলদোভা।
আরও পড়ুন: