“আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশে এত ম্যাচ উইনার নেই”

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৯

শেয়ার

“আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশে এত ম্যাচ উইনার নেই”
সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ। ছবি: সংগৃহীত।

আফগানিস্তানের বর্তমান স্কোয়াডে একঝাঁক ম্যাচ উইনার। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মোহাম্মদ গাজানফার, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নূর আহমেদ কিংবা ফজলহক ফারুকি, এদের যেকোনো একজনই একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। গত কয়েক বছরে আফগান ক্রিকেটের উত্থান, জয় কিংবা ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে সেটার প্রমাণ মিলেছে স্পষ্টভাবেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের যাত্রা মাত্র দেড় দশক আগে শুরু হলেও, এত অল্প সময়ে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হয়ে ওঠার পাশাপাশি নিজেদের ঝুলিতে যোগ করেছে অসংখ্য ম্যাচ উইনার।

 

অন্যদিকে, দুই যুগের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ এখনও ম্যাচ জেতার জন্য নির্ভরশীল হাতেগোনা কয়েকজন ক্রিকেটারের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের উপর। পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ মনে করেন, এখানেই মূল পার্থক্য। জিও নিউজের ম্যাচ-পরবর্তী আলোচনায় তিনি বলেন, আফগানিস্তান দলে অনেক বেশি ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার রয়েছে, যা বাংলাদেশের স্কোয়াডে ততটা চোখে পড়ে না।

 

আফগানদের উত্থানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন শেহজাদ। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আফগান খেলোয়াড়দের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। রশিদ খান, নূর আহমেদ, ওমরজাই, ফারুকির মতো ক্রিকেটাররা নিয়মিত খেলছেন আইপিএলে। তাদের অভিজ্ঞতা পরে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের মাঝে। কঠোর পরিশ্রম, আত্মনির্ভরশীলতা এবং অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগকে আফগান ক্রিকেটের অগ্রগতির মূল কারণ হিসেবে দেখছেন শেহজাদ।

 

তার ভাষায়, খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রচেষ্টা ও শৃঙ্খলাই আফগানিস্তানকে এগিয়ে দিয়েছে। সিনিয়ররা দল গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে, আর তরুণরা সেই পথ ধরে এগিয়েছে। একজন আরেকজনকে শুনে, পরিশ্রম করে তারা দলকে উপরে তুলেছে। এজন্যই আফগানিস্তানকে অন্য সহযোগী দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে মনে হয়, এমনকি বাংলাদেশকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে।

 

আফগান ক্রিকেটের গল্পে পাকিস্তানের অবদানও উল্লেখযোগ্য। শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে গিয়ে তারা প্রথম ক্রিকেট হাতে নেয়, পরে সেটা ধীরে ধীরে আফগানিস্তানে ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হয়েও আফগানিস্তান আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকেই টক্কর দিচ্ছে, এমনকি হারানোর স্মৃতিও গড়ে তুলেছে। শেহজাদের চোখে, এটিই আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন, যাদের কাছ থেকে শিখেছে, আজ তাদের বিরুদ্ধেই সমানে লড়াই করছে।