শিরোনাম

অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টইনিস। ছবি: সংগৃহীত।
ইংল্যান্ডের দা হান্ড্রেডের ফাইনালে ব্যাট হাতে এক ঝলক আলো ছড়ালেও শিরোপা জেতাতে পারেননি মার্কাস স্টইনিস। তবে সেখানকার দুর্দান্ত ইনিংস যেন নতুন অধ্যায়ের দুয়ার খুলে দিল। ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এবার ফিরলেন অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে, নিউজিল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়েই কাটালেন দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মেঘ। সামনে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বসতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যও তিনি এখন নির্বাচকদের ভাবনায়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আচমকাই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানান স্টইনিস। এরপর জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তি নেই, নভেম্বর থেকে খেলেননি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কোনো ম্যাচ সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা বেশ ঝুলে গিয়েছিল। এবার নিউজিল্যান্ড সফরে নাম লেখানোয় আবার আলোচনায় উঠে এলেন তিনি।
অবশ্য দলে ফিরেছেন ব্যাটার হিসেবে। পিঠের চোট থেকে সেরে উঠলেও পুরোপুরি বোলিং করতে এখনও অনুমতি পাননি। তবে সামনে অ্যাশেজের আগে বল হাতে ফেরার সবুজ সংকেত মিলতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার এই সফরে অনেক চেনা মুখ থাকলেও অনুপস্থিতিও কম নয়। মিচেল স্টার্ক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছেন, আরেক পেসার প্যাট কামিন্সও পিঠের সমস্যায় বাইরে। স্ত্রীর সন্তানের জন্ম উপলক্ষে নেই ন্যাথান এলিস। উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি ও অলরাউন্ডার অ্যারন হার্ডিও বাদ। তবে সুসংবাদ হলো, চোট সারিয়ে ফিরে এসেছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার ম্যাথু শর্ট ও ব্যাটার মিচেল ওয়েন।
অন্যদিকে দলে জায়গা হয়নি ক্যামেরন গ্রিনের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেও নির্বাচকদের নজরে আসতে পারেননি এই তরুণ অলরাউন্ডার। নিজের জায়গা ফিরে পেতে তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। সব মিলিয়ে বেশ নতুন চেহারায় নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ১, ৩ ও ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড (নিউজিল্যান্ড সফর): মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, জ্যাভিয়ার বার্টলেট, টিম ডেভিড, বেন ডোয়াসুইশ, জশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, ম্যাট কুনেমান, গ্লেন ম্যাকওয়েল, মিচেল ওয়েন, ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টইনিস ও অ্যাডাম জাম্পা।
আরও পড়ুন: