শিরোনাম

আফগানিস্তানের তারকা লেগস্পিনার রশিদ খান। ছবি: সংগৃহীত।
এশিয়া কাপ ২০২২-এর সেই স্মৃতি এখনও অনেকের মনে দগদগে। সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান উপহার দিয়েছিল ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম নাটকীয় ম্যাচ। ১৩০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানকে টেনে তুলেছিলেন নাসিম শাহ, চার বলে ১৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১ উইকেটে জয় এনে দিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু মাঠের সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতেও। আফগান সমর্থকদের ক্ষোভ রূপ নেয় সহিংসতায়, পাকিস্তানি ভক্তদের ওপর হামলা চালানো হয়, ভাঙচুর চলে স্টেডিয়ামে। সেই ঘটনার পর দুই দলের দ্বন্দ্ব মাঠের বাইরেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
সেই রোমাঞ্চ, সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই আবার মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। আজ (২৯ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, আর উদ্বোধনী ম্যাচেই শারজাহয় নামছে রশিদ খানের আফগানিস্তান ও বাবর আজমের পাকিস্তান। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে।
তবে এবার ভিন্ন আবহ তৈরি করতে চাইছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। গ্যালারির দর্শক ও প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ করে শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “ক্রিকেট মানুষকে একত্রিত করে। এটি আনন্দ ও ঐক্যের প্রতীক। স্টেডিয়ামে যারা আসবেন, তারা যেন খেলা উপভোগ করেন, নিজেদের দলকে সমর্থন করেন এবং প্রতিটি মুহূর্তে ক্রিকেটের সৌন্দর্যকে উপভোগ করেন।”
সংঘাত এড়াতে আয়োজকরাও নিয়েছেন কঠোর ব্যবস্থা। পাকিস্তানি ও আফগান সমর্থকদের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা আসনব্যবস্থা। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যেন সম্ভাব্য উত্তেজনা শুরু হওয়ার আগেই তা থামানো যায়। কারণ শারজাহতে পাকিস্তানি ও আফগান ভক্তদের উপস্থিতি সবসময়ই বিপুল, আর তাই প্রতিটি ম্যাচই হয়ে ওঠে গ্যালারির লড়াই।
ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রতিটি দল মুখোমুখি হবে দু’বার করে। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর হবে ফাইনাল। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে কোনো দলকে আগাম ফেভারিট মানতে নারাজ রশিদ, “টি-টোয়েন্টিতে কাউকে ফেভারিট বলা যায় না। এক বা দুজন ক্রিকেটারই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, সেটাই আসল।”
তবে অতীতের স্মৃতি এড়ানো কঠিন। ২০২২ সালে সুপার ফোরের সেই ম্যাচেই উত্তেজনার সূচনা হয়েছিল আসিফ আলী ও ফরিদ আহমেদের মাঠের ঝগড়া থেকে। উইকেট নেওয়ার পর ফরিদের উসকানিমূলক উদযাপনে ক্ষুব্ধ হয়ে আসিফ ব্যাট উঁচিয়ে দেন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি। সতীর্থরা ঠেকালেও উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। চেয়ারের ভাঙচুর, হামলা, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, সব মিলিয়ে এক বিভৎস দৃশ্য। সেই ঘটনার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আফগানদের আচরণকে “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” আখ্যা দিয়েছিল, অন্যদিকে আফগান ক্রিকেট বোর্ড আহ্বান জানিয়েছিল শান্তির।
আরও পড়ুন: