শিরোনাম

ওভাল টেস্ট জিতিয়ে মোহাম্মদ সিরাজের ঐতিহাসিক উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত।
ইংল্যান্ড সফরে ভারতের পেস আক্রমণের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। পুরো সিরিজে বল হাতে দাপট দেখিয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৩টি উইকেট। জসপ্রিত বুমরাহ অনেক ম্যাচে না খেললেও, সেই শূন্যস্থান দারুণভাবে পূরণ করেন সিরাজ। আসলে এই সফরেই ভারতের জন্য তিনি হয়ে ওঠেন এক সিনিয়র পারফর্মার।
সিরিজ শুরুর আগে থেকেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বুমরাহকে মাত্র তিন ম্যাচে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তার চোট ও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টে বাড়তি সতর্কতা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বুমরাহ বাইরে থাকায় যে চাপ তৈরি হয়েছিল, সেটি কাঁধে তুলে নিয়ে সিরাজ নিজের পারফরম্যান্সকে একধাপ ওপরে নিয়ে যান।
গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওভাল টেস্ট নিয়ে কথা বলেন সিরাজ। সেই ম্যাচে বুমরাহ ছিলেন না, আর সিনিয়র বোলার হিসেবে আক্রমণ সামলান সিরাজ। আগ্রাসী বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটারদের বিপাকে ফেলে ভারতকে জেতান তিনি। সমতা আনা সেই জয়েই ২-২ এ শেষ হয় সিরিজ।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সিরাজ বলেন, “যখন আমার কাঁধে দায়িত্ব আসে, এমনকি সেটা সাধারণ কোনো সিরিজ হলেও, আমার পারফরম্যান্স উন্নত হয়। দায়িত্ব আমাকে আনন্দ দেয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এজবাস্টনে আমি বলেছিলাম, লোকজন আমাকে নিয়ে কথা বলছে। এবার সময় এসেছে সেই সব কথা থামিয়ে দেয়ার। আমি জানি আমি কী করছি। বাইরের কথায় আমি কান দিই না। কারণ তারা জানে না আমি কীভাবে এখানে পৌঁছেছি। এবার মনে হয়েছিল এসব থামানোর সময় এসেছে।”
সিরাজ জানান, বুমরাহ না থাকলে নিজের ওপর বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয় এবং সেই আত্মবিশ্বাস সতীর্থদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেন তিনি। “জেসি ভাইয়ের (বুমরাহ) চোটের কারণে যখন তিনি খেলতে পারেননি, তখন আমি চেষ্টা করেছি আমাদের বোলিং ইউনিটে ইতিবাচকতা ধরে রাখতে। আকাশ দীপ কিংবা অন্যদের বলেছি আমরা আগেও পেরেছি, আবারও পারব।”
আরও পড়ুন: