শিরোনাম

ওপেনিংয়ে আড়াইশো রানের জুটি গড়েন মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড। ছবি: সংগৃহীত।
ওয়ানডে ক্রিকেটে চারশোর ওপরে রান তোলাটা অজিদের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল। ২০০৬ সালে একই প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে চারশোর ওপরে রান তোলার রেকর্ড হয়েছিল। আজ (২৪ আগস্ট) সেই ইতিহাসকে অস্ট্রেলিয়া তিনটি শতক এবং অভূতপূর্ব ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নতুনভাবে লিখে ফেলল। ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ এবং ক্যামেরন গ্রিনের অভূতপূর্ব শতক ও অ্যালেক্স কেরির সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া গড়ল তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে সংগ্রহ, ৪৩১/২।
আগের দুই ম্যাচে ২০০-এর নিচে অলআউট হয়ে সিরিজে ধাক্কা খাওয়ার পর অজিরা আজ প্রমাণ করলো যে তারা কোনো ভাবেই ম্যাচ ছাড়ার মনোভাব রাখেনি। হেড ও মার্শের ওপেনিং জুটিতে ২৫০ রান যোগ হয়, যা অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি হিসেবে রেকর্ডে যুক্ত হলো। ৩৪.১ ওভারের এই জুটি শেষে ক্যামেরন গ্রিন প্রোটিয়া বোলারদের ওপর টর্নেডো চালিয়ে ৪৭ বলেই সেঞ্চুরি তুলে নেন।
এই দিনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ত্রয়ী কেবল রেকর্ডই স্থাপন করেনি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম তিন ব্যাটারের সবকেই শতক হাঁকানোর কৃতিত্বও অর্জন করে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি মতো প্রধান বোলার ছাড়া শক্তি হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। নতুনদের মধ্যে কবেনা মাফাকা ৬ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে বাজে দিন কাটান, উইন মুল্ডার ৭ ওভারে ৯৩ রান খরচ করে এবং কেশভ মহারাজ ছাড়া কেউ ৬ রান প্রতি ওভারের নিচে রানের দখল রাখতে পারেননি।
খেলা শুরুতেই হেড ও মার্শের আক্রমণ ছিল ভয়ঙ্কর। হেড প্রথম বলেই ফাইন লেগে রান তোলেন, মাফাকার তৃতীয় ওভার থেকে ৩টি ফোর হাঁকান। অন্য প্রান্তে মার্শ মুল্ডারের প্রথম বল থেকে চার ও ছয় মেরে রানের গতি বাড়ান। ১০ ওভারের পর অজিরা ৮৬/০-তে এগিয়ে ছিল। হেড ৩২ বলেই ফিফটি পূর্ণ করেন, আর ৮০ বলে ১৪২ রান করে আউট হন। মার্শ ১০৬ বলে ১০০ রানে শতক হাঁকান, যদিও পরবর্তীতে ঝুলন্ত স্লগ-সুইপে রিকেলটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য আসল আশ্চর্য ছিল গ্রিনের ব্যাট। ৫৫ বলেই ১১৮ রানের অভূতপূর্ব ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ৮টি ছয় ও ৬টি চার। তার সঙ্গে কেরির দ্রুত অর্ধশতক অজিদের শেষ ১০ ওভারে ১২৬ রান যোগ করায়। এতে দক্ষিণ আফ্রিকা টপকানোর জন্য ৪৩২ রানের পাহাড়সম টার্গেট পায়।
আরও পড়ুন: