শিরোনাম

প্রতিটি ম্যাচেই রেকর্ডবুক তছনছ করছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ম্যাথু ব্রিটজকে ইতোমধ্যেই ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়েছেন। মাত্র চারটি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি প্রতিটি ইনিংসে রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হয়েছেন। কুইন্সল্যান্ডের ম্যাকাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন ব্রিটজকে, যা তার ধারাবাহিক সাফল্যকে আরও দৃঢ় করেছে। তার এই অসাধারণ পারফরম্যান্স ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম চার ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের কৃতিত্ব অর্জন করা নতুন রেকর্ড হিসেবে ইতিহাসে নথিভুক্ত হয়েছে।
এই ইনিংসের মাধ্যমে ব্রিটজকে ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিজ প্রথম চার ম্যাচে বা ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার গৌরব অর্জন করলেন। এর আগে ভারতের নভজ্যোৎ সিং সিধু চার ফিফটির কৃতিত্বে পৌঁছেছিলেন, তবে তার ক্ষেত্রে প্রথম চার ইনিংস নয়, প্রথম পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটি ইনিংসে ফিফটি ছিল। ব্রিটজকের এই রেকর্ডকে তাই নতুন ইতিহাস হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ব্রিটজকের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লাহোরে। ত্রিদেশীয় সিরিজের সেই ম্যাচে ১৫০ রান করে তিনি অভিষেকেই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড ভাঙেন। এই রেকর্ডটি আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্সের দখলে ছিল, যিনি ১৯৭৮ সালে অভিষেকে ১৪৮ রান করেছিলেন।
পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৩ রান করে ব্রিটজকে হেইন্সের আরেকটি রেকর্ডও কাড়েন। দুটি ম্যাচে মোট ২৩৩ রান করে তিনি ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে ২০০ রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান হয়ে যান। হেইন্সের কেরিয়ার শুরুতে দুই ইনিংসে মোট ১৯৫ রান ছিল।
এরপর ব্রিটজকে মাঠে নেমেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। সেই ম্যাচে ৫৭ রান করে তিনি প্রথম তিন ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডও গড়েন। আজকের ৮৮ রানের ইনিংসের মাধ্যমে প্রথম চার ইনিংসেও তার রানের পরিমাণ সর্বোচ্চ। চার ইনিংসে মোট করেছেন ৩৭৮ রান, যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ২৮০ টেম্বা বাভুমার।
ব্রিটজকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডের পাশাপাশি ২টি টেস্ট ও ১০টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন। তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দলের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সিরিজের এই দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৪ ওভারে ৮ উইকেটে ২৫৭ রান তুলেছে। সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্রিটজকের এই অভূতপূর্ব ধারাবাহিকতা দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করবে। তার অভিষেক থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক ফিফটি এবং রেকর্ড ইনিংসের মানসিক শক্তি দলের জন্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যান্য তরুণ খেলোয়াড়দের জন্যও ব্রিটজকের এই রেকর্ড একটি উদাহরণ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: