শিরোনাম

বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে নরওয়ের উদ্যোগ। ছবি: সংগৃহীত।
ফুটবল কেবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শিরোপার লড়াই নয়, মাঝে মাঝে হয়ে ওঠে মানবিকতার সেতুবন্ধন। গাজার চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচকে ঘিরে নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশন এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ক্রীড়াঙ্গনের সীমানা পেরিয়ে ছুঁয়ে গেছে বিশ্বব্যাপী মানবিকতার আলোচনাকে।
ওসলোতে আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নরওয়ে বনাম ইসরায়েল ম্যাচ। সাধারণত এই ধরনের ম্যাচকে ঘিরে আলাপ থাকে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স, রণকৌশল কিংবা দর্শক সমাগমকে কেন্দ্র করে। কিন্তু এবার বিষয়টি ভিন্ন। নরওয়ের ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ তারা পাঠাবে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর কাছে।
সংস্থার সভাপতি লিসে ক্ল্যাভনেস এক বিবৃতিতে বলেন, “গাজায় প্রতিদিনই চলছে অমানবিক হামলা, অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু। আমরা কিংবা অন্য কোনো সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের পরিস্থিতির প্রতি নির্লিপ্ত থাকতে পারি না। ফুটবলের এই আয়কে আমরা মানবিক সহায়তায় ব্যবহার করতে চাই, যেন জীবন বাঁচানোর কাজগুলো আরও গতিশীল হয়।”
তবে নরওয়ের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে। ইসরায়েলি ফুটবল ফেডারেশন দাবি করেছে, নরওয়ে যেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায়। তারা আরও সতর্ক করেছে, আয়কৃত অর্থ যেন কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন বা বিতর্কিত খাতে ব্যবহৃত না হয়। নইলে নরওয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়তে পারে বলেও ইসরায়েলি ফেডারেশনের মন্তব্য।
অন্যদিকে মাঠের খেলা নিয়েও রয়েছে ভিন্ন এক বাস্তবতা। নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েল নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না। ফলে তারা হাঙ্গেরিকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে। সর্বশেষ সেই ভেন্যুতেই নরওয়ে ৪-২ গোলে হারায় ইসরায়েলকে। বর্তমানে পাঁচ দলের গ্রুপে নরওয়ে শীর্ষে, আর দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল।
আগামী অক্টোবরের ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। উলেভাল স্টেডিয়ামে সাধারণত প্রায় ২৬ হাজার দর্শক সমাগম হয়, তবে এবার নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রায় তিন হাজার টিকিট কম দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: