উইজডেনের সেরা টেস্ট সিরিজে জায়গা পেল বাংলাদেশ

‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেন একবিংশ শতাব্দীর সেরা ১৫টি টেস্ট সিরিজের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে হওয়া দুটি ঐতিহাসিক লড়াই।

১৫তম স্থানে রয়েছে ২০১৬ সালের ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ, যা অনেকের কাছে মেহেদী হাসান মিরাজের উজ্জ্বল অভিষেক সিরিজ হিসেবে স্মরণীয়। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে সাব্বির রহমানের জেদি ইনিংসও ম্যাচ জেতাতে পারেনি টাইগারদের। কিন্তু মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ঘটেছিল ইতিহাস, যেখানে তৃতীয় দিনের চা বিরতির আগে ইংল্যান্ড ছিল পুরো নিয়ন্ত্রণে, দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ১০০ রান তোলার পরও। কিন্তু বিরতির পর দৃশ্যপট পাল্টে যায় নাটকীয়ভাবে। মাত্র এক সেশনে ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। মিরাজের ঘূর্ণিতে আসে ৬ উইকেট, সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে যায় বাকি ৪টি। ২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড থামে ১৬৪ রানে, জয় পায় বাংলাদেশ ১০৮ রানের ব্যবধানে।

তালিকার ৭ম স্থানে রয়েছে কোভিড-পরবর্তী সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর, যা ক্যারিবীয়দের জন্য হয়ে ওঠে রূপকথার মতো। চট্টগ্রাম টেস্টে কাইল মেয়ার্সের ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস ক্রিকেট ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় টেস্টেও দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, তবে শেষ হাসি হাসে অতিথিরাই, সিরিজ শেষ করে ২-০ ব্যবধানে।

উইজডেনের তালিকায় ৫ নম্বরে আছে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি, যা ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়। ৪ নম্বরে রয়েছে ২০২৩ সালের অ্যাশেজ, সেখানেও সমান ব্যবধানে ড্র হয়েছিল সিরিজ।

শীর্ষে রয়েছে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প। প্রথম টেস্টে মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পরও সিরিজ জিতে নেয় ভারত ২-১ ব্যবধানে, যা আধুনিক টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম অনুপ্রেরণামূলক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।