শিরোনাম
.jpg)
২০২৭ পর্যন্ত স্থগিত পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানের ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলার কথা ছিল আয়ারল্যান্ডের। আগস্টে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে সাজানো এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজকে ঘিরে দুই দলের মধ্যেই ছিল প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা। তবে শেষমেশ সূচিগত জটিলতার কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সিরিজ।
দুই বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে এখন সিরিজটির নতুন সময় নির্ধারণ করা হচ্ছে ২০২৭ সালে। সিরিজটি এই মুহূর্তে আয়োজনে অক্ষমতা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), কারণ বর্তমানে তারা রয়েছে এক ব্যস্ত আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের মুখোমুখি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তান ও স্বাগতিকদের সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে তারা। সেপ্টেম্বরেই রয়েছে এশিয়া কাপ, আর অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে খেলবে দুটি টেস্ট ম্যাচ। ফলে পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রথমে ২০২৪ সালের মে মাসে এই সিরিজের কথা প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আয়োজনের নতুন তারিখ জানানো হয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত অফিসিয়াল ক্যালেন্ডার হালনাগাদ করে বিষয়টি ২০২৭ সালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়।
পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিভাগের এক মুখপাত্র ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে বলেন, “আমরা দুই মৌসুমে কনটেন্ট ও পরিকল্পনাকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চেয়েছিলাম। আমাদের সামনে রয়েছে এশিয়া কাপ, এরপর আইসিসি ইভেন্ট যা আমাদের ফোকাস চায়। এ ধরনের ব্যস্ত সূচিতে নতুন সিরিজ যোগ করা কৌশলগতভাবে ঠিক হতো না।”
২০২৬ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা। তার আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে টানা একাধিক সিরিজ খেলছে পাকিস্তান, যা তাদের গেম টাইম এবং পারফরম্যান্স ফোকাস বজায় রাখতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছে বোর্ড।
আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও বোঝা যাচ্ছে, তাদের তরফ থেকেও সমঝোতার ভিত্তিতেই সিরিজটি স্থগিত হয়েছে।
সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানে আয়ারল্যান্ড দলের অভিষেক সফর এখন আরও অপেক্ষায় রইল। তবে দুই বোর্ডই নিশ্চিত করছে সিরিজটি বাতিল নয়, কেবল সময় পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: