শিরোনাম
.jpg)
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাকিস্তান সমর্থক বহিষ্কারে ল্যাঙ্কাশায়ারের দুঃখপ্রকাশ। ছবি: সংগৃহীত।
ইংল্যান্ড-ভারত টেস্টের শেষ দিনে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ঘটে যাওয়া এক বিতর্কিত ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব। পাকিস্তানের একটি ক্রিকেট জার্সি পরায় ফারুক নাজার নামের এক সমর্থককে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় ক্লাবটি “যে কোনও অপ্রীতিকর অনুভূতি ও কষ্টের” জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নিরাপত্তাকর্মী—যিনি নিজেকে ল্যাঙ্কাশায়ারের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন—নাজারকে অনুরোধ করছেন পাকিস্তানের সবুজ জার্সিটি ঢেকে রাখতে। তার দাবি, “কন্ট্রোল রুমের নির্দেশে” তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু নাজার তা অস্বীকার করলে পরে পুলিশ এসে তাকে মাঠ থেকে বের করে দেয়।
ল্যাঙ্কাশায়ার জানিয়েছে, নাজারকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে মূল কারণ ছিল “নিরাপত্তাকর্মীদের প্রতি তার অগ্রহণযোগ্য আচরণ।” তবে তারা স্বীকার করেছে যে এ ঘটনা সমর্থকদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতের জন্য তারা তাদের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে।
তবে পুরো বিষয়টি একটি প্রেক্ষাপটের মধ্যে ঘটেছে। ক্লাবটি জানিয়েছে, ম্যাচের আগের দিন শনিবার ভারতের কিছু সমর্থকের সঙ্গে পাকিস্তানি সমর্থকদের পতাকা দেখানো নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সময় নিরাপত্তাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলেও, ক্লাবের ভাষায়, পরদিন তারা “সতর্কতামূলক ও নিরাপত্তাকেন্দ্রিক” অবস্থান নেয়।
ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়, “পাকিস্তানের জার্সি পরার কারণে কাউকে সরিয়ে দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তবে শনিবারের ঘটনাকে মাথায় রেখেই পরদিন আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা ফারুক নাজারকে তার নিজের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করেন, যাতে পরিস্থিতির কোনও রকম উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়।”
তারা আরও জানায়, “নিরাপত্তা কর্মীরা বারবার ভদ্রভাবে অনুরোধ করলেও তিনি তা মানেননি, যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাকে স্টেডিয়াম ত্যাগে অনুরোধ জানানো হয়।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক ও ক্রীড়াক্ষেত্রে টানাপোড়েন বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ, এবং এমনকি আইসিসি টুর্নামেন্টেও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন এখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমর্থকদের সংবেদনশীল করে তোলে।
আরও পড়ুন: