ভারত ছাড়া এসিসি সভা ঢাকায়, কূটনৈতিক চাপের মুখে বিসিবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১১:৫০

আপডেট: ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১৫:৪৬

শেয়ার

ভারত ছাড়া এসিসি সভা ঢাকায়, কূটনৈতিক চাপের মুখে বিসিবি

ঢাকায় বৃহস্পতিবার বসতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা, যা প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এই বহুল আলোচিত সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিশেষ করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভা বয়কট করায় উদ্বেগ বেড়েছে আরও।

 

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, বিসিবি কেবল এই সভার ‘হোস্ট’, এর বাইরে কোনো নীতিনির্ধারণী বা রাজনৈতিক ভূমিকা নেই তাদের। তিনি জানান, এসিসির কাছ থেকে এজিএম আয়োজনের প্রস্তাব পেয়ে বিসিবি শুধু লজিস্টিকাল সাপোর্ট দিচ্ছে। অতিথিদের বিমানবন্দরে গ্রহণ, হোটেল বুকিং, সভাস্থলে যাতায়াতসহ এসব সহযোগিতার বাইরের কিছুই করছে না বিসিবি।

 

কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ভারতীয় বোর্ডের এই সভা বয়কট করা, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে অনিশ্চয়তা, সহযোগী দেশগুলোর কিছু অংশগ্রহণে অনীহাসব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এশিয়ার ক্রিকেট রাজনীতিতে নতুন বিভাজনের সূচনা হচ্ছে কি না। সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, সেই বিরোধের মাঝে পড়ে বাংলাদেশ অজান্তেই পক্ষপাতিত্বের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে কি না।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভির নেতৃত্বে এই সভা হওয়ায় বিসিসিআই এতে অংশ নেয়নি। রাজনৈতিকভাবে শীতল সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের মঞ্চেও। পিসিবির সঙ্গে বিসিবির সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা ভারতের চোখে ভালোভাবে ধরা পড়েনি বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

 

তবে বিসিবি সভাপতি এসব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "ক্রিকেট সবার ওপরে। আমরা আয়োজক মাত্র, এখানে কোনো পক্ষপাত বা রাজনীতি নেই।" তিনি আরও জানান, সহযোগী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের ঢাকায় আনতে পেরে রোমাঞ্চিত তিনি। তাদের সামনে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি তুলে ধরতে চান তিনি, যেখানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যও উপস্থাপন করা হবে।

 

সভা চলাকালে পিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলাদা বৈঠকের কথাও জানান আমিনুল। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে আলোচনা ও সম্পর্ক জোরদারে কাজ করতে চান বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

তবে সব কূটনৈতিক আশ্বাসের পরও আকাশে রয়ে গেছে শঙ্কার মেঘ। এসিসির সভা আগে কখনও এতটা বিভক্ত ছিল না। এই বিভাজন যদি স্থায়ী কোনো প্রভাব ফেলে, তবে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট মানচিত্রে নতুন সংকট তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক হবে না।