চলে গেলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অভিভাবকসুলভ মুখ বাবু মেমান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ জুলাই, ২০২৫ ১১:০৫

আপডেট: ৩ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৮

শেয়ার

চলে গেলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অভিভাবকসুলভ মুখ বাবু মেমান
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে একসময় অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন বাবু মেমান। ছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে এক পরিচিত, শ্রদ্ধাভাজন মুখ ছিলেন মোহাম্মেদ আহমেদ মেমান, যিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন ‘বাবু মেমান’ নামে। বিশ্ব ক্রিকেটের এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার, যিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র এক ম্যাচ—কিন্তু অফ দ্য ফিল্ড অবদান রেখে গেছেন গোটা দেশের ক্রিকেট গঠনে।


ইংল্যান্ডের লেস্টারে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন বাবু মেমান। সেখানেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৩ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড।


১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ছিল দাপুটে উপস্থিতি। ইংল্যান্ডে মাইনর কাউন্টি ক্রিকেটে দীর্ঘদিন খেলেছেন, ছিলেন পরিচিত অলরাউন্ডার।


তবে বিশ্ব ক্রিকেটে তার আসল পরিচিতি আসে জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে। দেশটির টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির পর ১৯৯২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ১৪ বছর তিনি ছিলেন জাতীয় দলের ম্যানেজার। দলের উত্থান-পতন, সাফল্য-বেদনাপূর্ণ অধ্যায়—সবকিছুর অংশ ছিলেন এই নিরলস পরিশ্রমী মানুষটি।


পরবর্তীতে তিনি নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে। দায়িত্ব পালনে তাঁর নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা আর বিনয় ছিল উদাহরণস্বরূপ।


তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট লিখেছে, “মাঠের ভেতরে ও বাইরে বাবুর অবদান আমরা কখনও ভুলব না। যারা তার সঙ্গে কাজ করেছেন, তারা চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন তার পেশাদারিত্ব, নম্রতা ও কঠোর পরিশ্রমকে।”


পেছনে রেখে গেলেন স্ত্রী আইশা, সন্তান ইকবাল, ফাজিলা ও সাদিয়াকে। বাবু মেমান চলে গেলেন, কিন্তু জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট গঠনে তাঁর অধ্যায় চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।