শিরোনাম

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি এখনও হাতে পাননি ওমান দলের ক্রিকেটাররা। একাধিকবার ক্ষোভ ঝাড়ার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে ওমান ক্রিকেট (ওসি)। খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য আইসিসি নির্ধারিত ২ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করার ঘোষণা দিয়েছে বোর্ড।
ওসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেরির কারণ ছিল ‘প্রক্রিয়াগত জটিলতা’। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বলেছে, তারা যথাসময়ে ওমান ক্রিকেট বোর্ডকে অর্থ পরিশোধ করেছে। উল্লেখ্য, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ইভেন্ট শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে প্রাইজমানি খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দিতে হবে।
প্রাপ্ত অর্থ না পাওয়ায় ২০২4 সালের অক্টোবরে এমার্জিং এশিয়া কাপ চলাকালে ওমানের খেলোয়াড়রা মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানান, যা ছিল বোর্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ। এর ফলও আসে ভয়াবহভাবে। ১৫ সদস্যের দলে থাকা ১১ জনের বার্ষিক চুক্তি বাতিল করে বোর্ড, কেউ কেউ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
উপসাগরীয় অনেক দেশের মতো, ওমানে কাজের অনুমতি ও আবাসিক মর্যাদা মূলত খেলোয়াড়ি চুক্তির ওপর নির্ভরশীল। চুক্তি বাতিল হওয়ায় সেই সুবিধাও হারান অনেকে।
ওমান ক্রিকেট বোর্ড এখন বলছে, তারা অর্থ পরিশোধে প্রস্তুত এবং সব বকেয়া আগামী মাসেই মেটাবে। কিন্তু যেসব ক্রিকেটার চুক্তি হারিয়েছেন বা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। কোনো পুনর্বহাল বা পুনর্বাসনের ইঙ্গিত মেলেনি।
বিশ্বকাপে খেলেও প্রাপ্য অর্থ না পাওয়া এবং প্রতিবাদ করায় চাকরি হারানো—এই দ্বৈত আঘাতে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ওমানি ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে গেছে। বোর্ডের দেরিতে সিদ্ধান্ত হয়তো অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান আনছে, তবে ন্যায়বিচার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: