
বিদায়ী মুহুর্তে মিচেল স্ট্যার্ক ও জশ হ্যাজলউডের কাঁধে মিচেল জনসন। ছবি: সংগৃহীত।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর অস্ট্রেলিয়ান পেস আক্রমণের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এই প্রশ্নের মুখে সবচেয়ে বেশি বিদ্ধ হয়েছেন জশ হেইজেলউড। কারণ, ফাইনালের ঠিক আগে তিনি ছিলেন আইপিএল ব্যস্ততায়। আর এতে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক গতিমান বোলার মিচেল জনসন।
জনসনের অভিযোগ জাতীয় দলের প্রস্তুতির চেয়ে আইপিএলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন হেইজেলউড। বোলিংয়ের বিখ্যাত ‘বিগ ফোর’-এর সদস্য হলেও, ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। দুই ইনিংসে ৩৪ ওভার বোলিং করে মাত্র দুটি উইকেট নেওয়া হেইজেলউডের ফিটনেস ও মনোযোগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জনসন।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নিজের কলামে জনসন লিখেছেন, “সম্প্রতি আমরা হেইজেলউডের ফিটনেস নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। কিন্তু তার আইপিএলে ফেরার সিদ্ধান্ত অবাক করেছে। জাতীয় দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ফাইনালের আগে প্রস্তুতির চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়াটা হতাশাজনক।”
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও (১২ ম্যাচে ২৪ উইকেট), লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেরাটা দিতে পারেননি হেইজেলউড। জনসনের মতে, শুধু হেইজেলউড নয়, লায়নকেও সময় এসেছে প্রশ্নবিদ্ধ করার। ফাইনালে দুই ইনিংস মিলিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন এই অভিজ্ঞ স্পিনারও।
ফলে বিগ ফোর ভেঙে নতুন মুখের দিকে ঝোঁকার আহ্বান জানাচ্ছেন জনসন। একাদশের বাইরে থাকা স্কট বোল্যান্ড, স্যাম কনস্টাস ও জশ ইংলিসদের সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে বলেই মনে করেন তিনি।
অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও ফাইনালের পর দলে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। মূল একাদশের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই বয়সের ত্রিশ পেরিয়ে গেছেন। আগামী ২৫ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া, সেখানেই হয়তো দেখা যাবে জনসনের আলোচিত সেই ‘পুনর্গঠন’-এর প্রথম ধাপ।
অস্ট্রেলিয়া দলে কী আদৌ বড় রদবদল আসবে? নাকি অভিজ্ঞদের ওপরই আস্থা রাখবে টিম ম্যানেজমেন্ট? প্রশ্নটা এখন নির্বাচকদের কোর্টে। তবে হেইজেলউডের আইপিএল-প্রীতি যে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: