শিরোনাম
.jpg)
চ্যালেঞ্জ কাপের ট্রফি নিয়ে বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডানের কোচ ও অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত।
বসুন্ধরা কিংস আর মোহামেডানের লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় গড়াবে চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনাল, যেখানে এক ম্যাচেই নির্ধারণ হবে চ্যাম্পিয়নের ভাগ্য। গত আসরে মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা তুলেছিল কিংস, এবারও তারা নামছে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে।
অধিনায়ক তপু বর্মনের কণ্ঠে সেই প্রত্যয়ের সুর স্পষ্ট, “একটাই ফাইনাল, জিততেই হবে।” অন্যদিকে মোহামেডান শিবিরে প্রতিশোধস্পৃহা। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিঠু খোলাখুলি জানালেন, গতবারের হার ভুলতে চান না, এবার জেতার ক্ষুধাই তাদের মূল প্রেরণা।
তবে প্রস্তুতিতে দুই দলের মাঝে পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। কিংস আগেভাগেই প্রাক মৌসুম শুরু করেছে, খেলোয়াড়রাও জাতীয় দলে খেলে এসেছেন, ফলে ফিটনেস ও ছন্দে তারা এগিয়ে। মোহামেডানের গল্পটা ভিন্ন,কোচ আলফাজ আহমেদ হাতে গোনা কয়েকদিনই পুরো স্কোয়াড নিয়ে অনুশীলন করতে পেরেছেন, অনুশীলনের জন্য নেই নিজস্ব মাঠও। সংবাদ সম্মেলনে তাই তার কণ্ঠে আক্ষেপ থাকলেও আত্মবিশ্বাসও শোনা গেছে, “শিরোপার জন্যই আমরা মাঠে নামব।”
ডাগআউটে এবার নতুন সংযোজন কিংসের। অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেসের অধীনে এটিই তাদের প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ। এএফসি কাপজয়ী এই কোচ ইতিমধ্যেই খেলোয়াড়দের মধ্যে জাগিয়েছেন বাড়তি অনুপ্রেরণা। তপু বর্মনও বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুরো দল কোচের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে প্রস্তুত।
মোহামেডান অবশ্য সীমাবদ্ধতা ভুলে দৃঢ় কণ্ঠেই জানাচ্ছে লড়াইয়ের ইচ্ছা। মিঠু বললেন, “অধিনায়ক আমি হলেও সবাই ক্যাপ্টেন। সবাই দায়িত্ব নিলে ইনশাল্লাহ আমরা শিরোপা পাব।”
আরও পড়ুন: