শিরোনাম

৩ বছর পর আবারো ফিরছে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ফুটবল মানেই একসময় ছিল জেলা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মাদনা। আশি-নব্বইয়ের দশকে সারাদেশ মাতত ফুটবল জ্বরে। তবে দীর্ঘদিন সেই আবেগ হারিয়ে গিয়েছিল। তিন বছর পর আবারও শুরু হয়েছে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, আর তার সূচনায় ফুটবলপ্রেমীরা যেন নতুন করে উচ্ছ্বাস ফিরে পেয়েছে মুন্সীগঞ্জে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে আজ (৩০ আগস্ট) স্বাগতিক মুন্সীগঞ্জের খেলা দেখতে প্রায় অর্ধেক গ্যালারিই ভর্তি হয়ে ওঠে দর্শকে। উদ্বোধনী ম্যাচে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে মাদারীপুরকে। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে জয় নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ। রেফারির সিদ্ধান্তে আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত গোলের আনন্দে মেতে ওঠে স্বাগতিক সমর্থকরা।
হামজা-সামির আগমনে দেশে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ নতুন করে জেগেছে। নারী ফুটবলেও ঋতুপর্ণাদের সাফল্যে বাংলাদেশ অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাফুফে সভাপতি বললেন, জেলা লিগ ও আন্তঃজেলা চ্যাম্পিয়নশিপকে কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী ঘরোয়া কাঠামো গড়তে চান তারা, যা জাতীয় দলে খেলোয়াড় সরবরাহ করবে।
তবে অর্থ নয়, অবকাঠামোকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তাবিথ আউয়াল। গত মৌসুমে আলোকস্বল্পতায় ফেডারেশন কাপ ফাইনাল অসমাপ্ত থাকার মতো ঘটনা ফুটবলের উন্নয়নে বড় বাধা। তাঁর আশা, মন্ত্রণালয় ও ফিফার সহায়তায় স্টেডিয়ামগুলোর আধুনিকায়ন হলে রাতেও ম্যাচ আয়োজন করা যাবে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও অবকাঠামো সংকটের বিষয়টি খোলাখুলি মেনেছেন। তিনি জানান, জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে এবং চট্টগ্রাম, নীলফামারি সহ বিভিন্ন জেলায় স্টেডিয়াম বাফুফেকে দেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর মতে, মাঠ সচল রাখাই এখন মূল লক্ষ্য, কারণ খেলাধুলা না হলে মাঠগুলো অচল হয়ে পড়ে।
একই সঙ্গে তিনি ক্রীড়াঙ্গনে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন। বিসিবি ও বাফুফের আঞ্চলিক কার্যক্রমকে সামনে রেখে তিনি মনে করেন, নব্বইয়ের দশকের মতো ফুটবলের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তবে সেটি হবে ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: