শিরোনাম
.jpg)
বসুন্ধরা কিংস। ছবি: সংগৃহীত।
চুক্তির অর্থ না দেওয়ায় বড় ধাক্কায় পড়েছে বসুন্ধরা কিংস। সাবেক কোচ ভ্যালেরিও তিতা ও ফিটনেস ট্রেনার খলিল চাকরৌনের অভিযোগের ভিত্তিতে ফিফা বাংলাদেশি এই ক্লাবকে টানা তিনটি ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া এই শাস্তির কারণে ২০২৫–২৬ মৌসুমের মধ্যবর্তী দলবদল ও ২০২৬–২৭ মৌসুমের দুটি উইন্ডোতে কোনো খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে পারবে না কিংস।
অস্কার ব্রুজোনের জায়গায় গত বছরের জুলাইয়ে বসুন্ধরা কিংসের কোচ হন রোমানিয়ান তিতা। তাঁর অধীনে দল ফেডারেশন কাপ ও চ্যালেঞ্জ কাপ জিতলেও লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয়। এরপরই তাঁকে বিদায় করে ক্লাব। কিন্তু বিদায়ের পর তিন মাসের বেতন, বোনাস ও বিমানভাড়া পাননি বলে অভিযোগ তোলেন তিতা। একই দাবি করেছেন ফিটনেস ট্রেনার চাকরৌনও। তিতার ভাষ্য, কিংস তাদের প্রাপ্য অর্থ দেয়নি, এমনকি বিমানভাড়াও তাঁকে নিজের পকেট থেকে দিতে হয়েছে।
অভিযোগের পর তদন্তে নামে ফিফা। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ক্লাবকে জবাব দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত রায় যায়নি কিংসের পক্ষে। ফলে ফিফার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিষিদ্ধ ক্লাবের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বসুন্ধরা কিংসের নাম।
তবে নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী নয়। কোচ ও ট্রেনারের পাওনা পরিশোধ বা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে ফিফাকে জানালে শাস্তি তুলে নেওয়া সম্ভব। আর যদি ক্লাব মনে করে সিদ্ধান্ত অন্যায্য, সেক্ষেত্রে ক্রীড়া ট্রাইব্যুনাল বা ফিফার আপিল বিভাগেও যেতে পারবে তারা। তবে টাকা না দিলে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, এমনকি পয়েন্ট কর্তন বা অবনমনের মতো বাড়তি শাস্তিও আসতে পারে।
বাংলাদেশে এর আগে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্সও একই পরিস্থিতিতে পড়েছিল। উজবেক ফুটবলার সারদর জাখোনভকে অর্থ না দেওয়ায় ক্লাবটির ওপর ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। যদিও পরবর্তীতে প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করায় চলতি আগস্টেই সেই শাস্তি উঠে যায়।
আরও পড়ুন: