শিরোনাম

ফিফার নজরদারিতে বসুন্ধরা কিংস। ছবি: সংগৃহীত।
চুক্তিভঙ্গ ও পাওনা অর্থ না পাওয়ার অভিযোগে বসুন্ধরা কিংসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ক্লাবটির সাবেক রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরিও তিতা এবং ফরাসি ফিটনেস ট্রেইনার খলিল চাকরৌন। এ মাসের শুরুতে ফিফায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়েরের পর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কোচ বা খেলোয়াড়ের বেতন কিংবা চুক্তির অর্থ বাকি থাকলে তাঁরা সরাসরি প্লেয়ারস স্ট্যাটাস চেম্বার (পিএসসি) বা ডিসপিউট রেজল্যুশন চেম্বারের (ডিআরসি) মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারেন। প্রমাণস্বরূপ প্রয়োজন হয় লিখিত চুক্তি, ব্যাংক লেনদেনের কাগজপত্র এবং বকেয়া অর্থের হিসাব। এরপর ফিফা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়।
এই নিয়ম মেনেই অভিযোগ তুলেছেন তিতা ও খলিল। ইতিমধ্যেই কিংসকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ২৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ফিফা। ওমান থেকে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিতা জানিয়েছেন, ‘ফিফা আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং ক্লাবকে লিখিত জবাব দিতে বলেছে। এখন বিষয়টি তদন্তাধীন।’ বর্তমানে তিনি ওমানি ক্লাব আল-সিবের কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে তিতা ও খলিল সত্যিই তাঁদের পাওনা পাননি, তবে ফিফা বসুন্ধরা কিংসকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেবে। সে সময়সীমা পার হলে ক্লাবকে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। সম্ভাব্য শাস্তির মধ্যে রয়েছে নতুন খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা, লিগে পয়েন্ট কেটে নেওয়া কিংবা সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে লিগ থেকে অবনমন। তবে উল্টো প্রমাণ হাজির করতে পারলে অভিযোগ খারিজ হবে এবং কিংস দায়মুক্তি পাবে।
বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসানকে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। ক্লাবটির সঙ্গে তিতার সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল গত বছরের জুলাইয়ে, যখন তিনি স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোনের স্থলাভিষিক্ত হন। তাঁর অধীনে কিংস জেতে ফেডারেশন কাপ ও চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপা, তবে প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি হারানোর দায়ে মৌসুম শেষে তাঁকে বিদায় দেওয়া হয়।
চুক্তি শেষ হওয়ার পর বেতন, বোনাস এবং বিমান ভাড়ার অর্থ না মেলায় তিতা ফিফায় যান। তাঁর দাবি, ‘তারা আমার তিন মাসের বেতন দেয়নি, বোনাসও আটকে রেখেছে। বিমানভাড়া পর্যন্ত আমাকে নিজের পকেট থেকে দিতে হয়েছে।’ একইভাবে খলিল চাকরৌনেরও তিন মাসের বেতন ও বোনাস বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশি ফুটবলে কোচ ও খেলোয়াড়দের পাওনা অর্থ নিয়ে বিরোধ নতুন নয়। এর আগেও ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব এক উজবেক ফুটবলারের বেতন বাকি রাখায় ফিফার শাস্তি পেয়েছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর ক্লাবটির ওপর ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যা শেষ পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের পর গত ৭ আগস্ট তুলে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: