বকেয়া পাওনা নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ফিফায় অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫২

শেয়ার

বকেয়া পাওনা নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ফিফায় অভিযোগ
সাবেক কোচ-ট্রেইনারের পাওনা নিয়ে বিপাকে বসুন্ধরা কিংস। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পাঁচবারের শিরোপাজয়ী ক্লাব বসুন্ধরা কিংস এবার মাঠের সাফল্যের পাশাপাশি বাইরেও চাপে পড়েছে। সাবেক রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতে ও ফরাসি ট্রেইনার খলিল চাকরৌন দাবি করেছেন তাদের চুক্তিকৃত পাওনা মেটায়নি ক্লাবটি। এই অভিযোগ নিয়েই তারা ফিফার দ্বারস্থ হয়েছেন।

 

বর্তমানে ওমানে থাকা খলিল জানান, “গত পরশু ফিফায় অভিযোগ করেছি। তারা অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।” নিজের প্রাপ্য নিয়ে তিনি আরও বলেন, “মার্চ থেকে মে মাসের বেতন, ফেডারেশন কাপ ও চ্যালেঞ্জ কাপের বোনাস, এবং বেতন বিলম্বের জরিমানা সবই এখনও বাকি। কোচ তিতেরও একই পরিমাণ পাওনা রয়েছে। ঢাকা ছাড়ার সময় ক্লাব ম্যানেজার ওয়াসিম দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কয়েক মাস কেটে গেলেও সমঝোতায় সমাধান হয়নি, তাই ফিফায় যেতে হয়েছে।”

 

২০১৮ সালে প্রিমিয়ার লিগে আত্মপ্রকাশ করেছিল বসুন্ধরা কিংস। টানা পাঁচ মৌসুমে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঘরোয়া ফুটবলে আধিপত্য বিস্তার করেছে। এএফসি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে ভেন্যু ও সূচি পরিবর্তনের দাবিতে কঠোর অবস্থানও নিয়েছিল তারা, এমনকি ক্ষতিপূরণ আদায়ের নজিরও আছে। কিন্তু এখন সেই কিংসই ফিফার নজরদারিতে, সাবেক কোচ-ট্রেইনারের বকেয়া নিয়ে।

 

৫ আগস্টের পর থেকেই আর্থিক চাপের মুখে রয়েছে ক্লাবটি। এতে কয়েকটি চুক্তি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে তারা। এ বিষয়ে জানতে ক্লাব ম্যানেজার ওয়াসিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

 

আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলোয়াড়, কোচ ও ক্লাবের মধ্যে আর্থিক বিরোধ অস্বাভাবিক নয়। এ ধরনের অভিযোগ পেলে ফিফা তদন্ত করে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয়। সময়সীমা অতিক্রম করলে ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা বা জরিমানার মুখে পড়তে হয় ক্লাবকে। তবে ক্লাব যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে পারে, অভিযোগ খারিজও হতে পারে।

 

সম্প্রতি ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠেছিল। এক উজবেক ফুটবলারের বকেয়া পরিশোধ না করায় ফিফা তাদের ট্রান্সফার ব্যান দিয়েছিল। পরে অর্থ মিটিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

 

বসুন্ধরা কিংসের ক্ষেত্রেও এখন নজর থাকবে ফিফার সিদ্ধান্তের দিকে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে আসন্ন মৌসুমে দলবদল ও খেলোয়াড় সংগ্রহের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা খেতে পারে ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম সেরা ক্লাবটি।