উজবেকিস্তানের এক ফুটবলারের পাওনা পরিশোধ না করায় ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার দেওয়া ট্রান্সফার ব্যান দলের আসন্ন মৌসুমের প্রস্তুতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল। অবশেষে সেই পাওনা মিটিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ফিফা, ফিরেছে ক্লাবের দলবদলের পথ।
আজ (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ফিফা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চিঠি পেয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্লাব কর্তাদের মাঝে। ফকিরেরপুলের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী জানান, “আমাদের দলবদলে এখন আর কোনো বাধা নেই। ফিফা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফুটবল ফেডারেশন ও ক্লাব কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই, সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।”
১৪ আগস্ট শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের সময়সীমা। হাতে মাত্র এক সপ্তাহ থাকলেও আসন্ন মৌসুমে মাঠে নামার ব্যাপারে পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী ফকিরেরপুল। আহমেদ আলী বলেন, “আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছে, আগামী কয়েক দিনে আরও খেলোয়াড় নেব। বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। ফকিরেরপুল মাঠে নামবে এটা নিশ্চিত।”
জানা গেছে, উজবেক ফুটবলারের মোট পাওনা ছিল প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এই অর্থ মেটাতে ক্লাব কর্তাদের যথেষ্ট চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে প্রতিযোগিতামূলক দল গড়তে ন্যূনতম ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা প্রয়োজন হয় ফকিরেরপুল সেটা জোগাড় করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে ফুটবল অঙ্গনে এখনও সংশয় রয়েছে।
বাফুফে শুরুতে ৪ আগস্টের মধ্যে বিষয়টির সমাধান চেয়েছিল। পরে সময় বাড়িয়ে ৮ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ দেওয়া হয়। সমাধান না হলে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ফকিরেরপুলের জায়গায় খেলানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ওয়ান্ডারার্সের প্রিমিয়ারে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল।
এখন ফকিরেরপুলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অল্প সময়ে স্কোয়াড গঠন ও প্রতিযোগিতামূলক দল নিয়ে মৌসুম শুরু করা। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরার দৃঢ় সংকল্পের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। সময় যে সীমিত, তা সত্ত্বেও দল গড়তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ক্লাব এমনটাই প্রতিশ্রুতি তাদের।