শিরোনাম

আবেদিন সাব্বিরের বিতর্কিত সেই আউট। ছবি: সংগৃহীত।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) ঘিরে ফের উঠল ফিক্সিংয়ের ঝড়। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরের রহস্যজনক আউট থেকে শুরু হয়ে যাওয়া সেই বিতর্ক এখন গিয়ে ঠেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকু)-এর কঠোর সুপারিশে।
আকুর তদন্তে উঠে এসেছে, সাব্বির কেবল সন্দেহজনক আচরণই করেননি, বরং বিসিবির দুর্নীতি দমন কোডের একাধিক ধারা ভঙ্গ করেছেন। বুকির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং তা কর্তৃপক্ষকে না জানানোর বিষয়ও রয়েছে সেই তালিকায়।
সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে ব্যাটিং করতে নেমে সাব্বির এমনভাবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন যে সেটি সহজেই স্টাম্পিংয়ে রূপ নেয়। পরে তিনি ব্যাট ভেতরে এনে আবার ক্রিজের বাইরে সরিয়ে দেন, ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়ে সেই মুহূর্ত। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতে স্টাম্পিং হওয়ার সেই দৃশ্য ক্রিকেট মহলে ছড়িয়ে দেয় ফিক্সিংয়ের তীব্র গন্ধ।
তদন্ত শেষে আকুর রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ঘটনার প্রমাণ অনুযায়ী অন্তত পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করছি। প্রয়োজনে তা ৮-১০ বছর বা তারও বেশি হতে পারে। অপরাধের গুরুত্ব বোঝাতে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবেই এই সুপারিশ।” রিপোর্টে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞার ঘটনাকেও তুলনা হিসেবে আনা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। ডিপিএলের সময় সাব্বির বিদেশি একটি নাম্বারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, যা সম্ভবত আন্তর্জাতিক কোনো বুকির। ফলে এই ঘটনায় বিদেশি সিন্ডিকেটের সম্পৃক্ততা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে আকু। নিরাপত্তার ঘাটতি তুলে ধরে তারা ড্রেসিংরুমসহ মাঠের প্রতিটি জায়গায় নজরদারি আরও জোরদার করার সুপারিশ করেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অতীত ইতিহাসে ফিক্সিং মানেই এক অন্ধকার অধ্যায়। এবার সেই অধ্যায়েই যোগ হলো নতুন নাম, মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির। বিসিবি এখন সিদ্ধান্ত নেবে, আকুর প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ক্যারিয়ারই হয়তো শেষ হয়ে যেতে পারে একসময় সম্ভাবনাময় এই ব্যাটারের।
আরও পড়ুন: